স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নওশেরুজ্জামানের মৃত্যু, বাদ আছর চাঁদপুরে দাফন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের খেলোয়াড়  চাঁদপুরের কৃতী সন্তান একেএম নওশেরুজ্জামানের। কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হওয়ার পর বেশ কয়েকদিন লাইফ সাপোর্টে থেকে ৭০ বছর বয়সে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি।
সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নওশেরুজ্জামান। এক সময়ের এই দাপুটে ফুটবলার মৃত্যুর সময় স্ত্রী ও এক ছেলে এবং এক মেয়ে রেখে গেছেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থা। ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান এবং জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সকল সদস্য।
নওশেরুজ্জামানের অসুস্থতার সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নিয়মিত খোঁজ নিয়েছেন। যেখানে চলতি মাসের শুরুর দিকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন তিনি। রাজধানীর মুগদা হাসপাতাল ও গ্রীন লাইফে চিকিৎসা নেওয়ার পর তাকে ভর্তি করা হয়েছিল ইবনে সিনা হাসপাতালে।
চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবু বলেন,  আমি প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নওশেরুজ্জামানের প্রথম জানাজাশেষে তার মরদেহ মুন্সিগঞ্জে আনা হচ্ছে। বাদ জোহর মুনসিগঞ্জে দ্বিতীয় জানাজার অনুষ্ঠিত হবে। পরে চাঁদপুরে মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনলে তার গ্রামের বাড়ির কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে সমাহিত করা হবে।
তিনি জানান, ১৯৮২-৮৩ সালে চাঁদপুর জেলা ফুটলীগে বিভিন্ন দলের হয়ে খেলেছেন। বিশেষ করে মোহামেডান আর পূর্ব শ্রীরামদী ক্লাবের পক্ষে নিয়মিত খেলেছেন। তিনি জানান, তারা দু’ভাই ফুটবলার। নওশের ভাই স্টাইকার হিসেবে খেলতেন এবং শরীফ ভাই মিডফিল্ডে খেলতেন। তারা দু’জনেই ঢাকার মোহামেডান ক্লাবে খেলেছেন।
নওশেরুজ্জামান ১৯৫০ সালের ৫ ডিসেম্বর মুন্সিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৭ সালে রেলওয়ের হয়ে ক্লাব ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরে ওয়ারী, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াপদা ঘুরে ১৯৭৫ সালে যোগ দেন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবে। ১৯৭৮ থেকে ৮০ সাল পর্যন্ত খেলেছেন ওয়ান্ডারার্সে।
স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের হয়ে মুক্তিযুদ্ধের সময় খেলা নওশেরুজ্জামান পরে বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেছেন ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত। ক্রিকেটের আঙিনাও মাতিয়েছিলেন তিনি। মোহামেডান, ভিক্টোরিয়া ও কলাবাগানের হয়ে ক্রিকেট খেলেছেন ১৭ বছর।

শেয়ার করুন

Leave a Reply