হাইমচরে জেলে কার্ডের তালিকায় অনিয়মের অভিযোগ সুবিধা বঞ্চিতে জেলেদের

হাইমচর প্রতিনিধি :
হাইমচর উপজেলা ৩নং দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জেলেদের কার্ডের তালিকা তালিকা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছেন বঞ্চিত প্রকৃত জেলেরা। জেলে কার্ডধারী প্রকৃত জেলেরা ইউনিয়ন পরিষদের চাল বিতরণ কালে ইউনিয়নের ট্যাক্স অফিসার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার একে মনির হোসেনের কাছে মৌখিক অভিযোগ তোলেন। জেলেরা অভিযোগ করে বলেন আমরা নদীতে মাছ ধরি অথচ আমাদেরকে জেলে কার্ডের চাল থেকে বঞ্চিত করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, যারা নদীর ধারে কাছে যারা যায় না তাদের তালিকায় নাম রয়েছে।
তারা জানান, ইউনিয়ন পরিষদ প্রত্যেক ওয়ার্ডের জেলে প্রতিনিধি কে প্রকৃতি জেলে বাচাই করে নামের তালিকা করতে দিলে তার নিজের লোকজন যারা প্রকৃত জেলে না তাদের নাম তালিকা করে জমা দিয়েছে। যার কারনে আমরা যে প্রকৃত জেলে হয়েও জেলে কার্ডের চাউল থেকে বঞ্চিত হয়েছি।
হাইমচর উপজেলার আলগী দক্ষিণ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের প্রকৃত জেলেদাবীধার মোঃ মিজানুর রহমান পিতা আঃ রশিদ গাজী জেলে আইডি নং ১৩১৪৭২৩৬৯৫৯৬,মোঃ অলি উল্লা পিতা মৃতঃ নূরু উদ্দিন আইডি নং১৩১৪৭২৩৬২৯৭১৩, রুহুল আমিন গাজী পিতা ইউসুফ গাজী আইডি নং ১৩ ১৪ ৭২ ৩৬ ২৮ ৫৮ ৬, আনোয়ার হোসেন পিতা ইদ্রিস আলী আইডি নং ১৩-১৪ ৭২৩৬ ৩০ ১৯২, মোহাম্মদ জাকির পিতা হানিফ গাজী আইডি নং ১৩১৪ ৭২ ৩৬ ৩০-৪৫ ৮ আমির হোসেন পিতা সেকান্তর গাজী আইডি নং১৩১৪৭২৩৬২৯৬৭১,মহিউদ্দিন গাজী পিতা সিরাজ গাজী আইডি নং ১৩১৪৭২৬৩৮৩৩সহ আরো অনেকে। এ ব্যাপারে জেলে মিজানুর রহমান জানান আমার নদী জাল নৌকা ও নৌকা ভাগি রয়েছে। আমি একজন প্রকৃত জেলে হয়ে জেলে কার্ডের চাল থেকে বঞ্চিত। ২ নং ওয়াডে জেলে প্রতিনিধি ইংরেজ দর্জি (মোক্তার দর্জি যাচাই বাচাইতে আমার নাম তালিকা আনেনি। আমি যদি একজন প্রকৃত জেলে না হই আপনাদের মাধ্যমে তদন্ত করেন। কেন আমি জেলে হয়ে জেলে কার্ডের চাল থেকে বঞ্চিত হবো।
এ ব্যাপারে ২নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ সোবাহান মিয়া জানান, যারা প্রকৃত জেলে তাদের আগে নামের তালিকায় থাকার কথা। আমি মনে করি যাচাই-বাছাইতে ওয়ার্ডের জেলে প্রতিনিধি অনিয়ম রয়েছে।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল জলিল মাষ্টার জানান, জেলেদের নামের তালিকা করার জন্য প্রত্যেক ওয়ার্ডের জেলে প্রতিনিধি, ওয়ার্ড মেম্বার ও ত্রান কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তালিকার ব্যাপারে আমার কোন প্রকার হস্তক্ষেপ নাই। ওনারা তালিকা জমাদিয়ে সে মোতাবেক চাউল বিতরন করছি।
ইউনিয়নের ট্যাগ অফিসার একেএম মীর হোসেন জেলেদের অভিযোগের প্রেক্ষাপটে বলেন যাদের আইডি কার্ড আছে তারাই জেলে। কে মাছ ধরে কে ধরে না সেটা জানবে ওয়ার্ডের জেলে প্রতিনিধি। আপনারা তাদের সাথে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। সরকার ১৪৪৬ জনের মত ৮০ কেজি করে চাউল বরাদ্ধ দিয়েছে নিয়মত তালিকা অনুযায়ী বিতরণ চলছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply