হাজীগঞ্জে বৃদ্ধ দম্পতি হত্যা : জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে জোড়া খুনের ঘটনায় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চাঁদপুর জেলা নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের পান্নার বাড়ি (কালা সিতার বাড়ি) পরিদর্শন করে হত্যাকান্ডের শিকার দম্পতির স্বজনদের সাথে কথা বলেন এবং সনাতন ধর্মালম্বী অন্যান্য পরিবারের সাথে কুশল বিনিময় করেন নেতৃবৃন্দ।

এসময় তদন্তপূর্বক জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের সনাক্ত এবং তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের জেলা সভাপতি এ্যাড. বিনয় ভুষণ মজুমদার ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রঞ্জিত রায় চৌধুরী বলেন, হত্যাকান্ডের শিকার দম্পতি অত্যন্ত অসহায় ও নিরিহ। কেন বা কি কারণে তাদের হত্যা করেছে, আশাকরি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দ্রুত তাদের সনাক্ত করে গ্রেফতারপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সকল অপরাধের শাস্তি নিশ্চিত করা হোক উল্লেখ করে তারা বলেন, সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগরিষ্ট যে বা যারাই ক্ষতিগ্রস্ত হোক না কেন, দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হলে অপরাধের মাত্রা কমে আসবে। বিশেষ করে নির্বাচনের পূর্বে ও পরে একটি মহল সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলা ও নির্যাতন করে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে। আপনারা (সনাতন ধর্মালম্বী) মনোবল হারাবেন না। আমরা আপনাদের পাশে আছি।
এ সময় বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের চাঁদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, উপজেলা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সত্যব্রত ভদ্র মিঠুন, পৌর সভাপতি লিটন পাল ও সাধারণ সম্পাদক গৌতম কুমার সাহা, জেলা যুব ঐক্য পরিষদের আহবায়ক অমরেশ দত্ত জয়সহ অনান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া হাজীগঞ্জ উপজেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিধু ভূষণ রায় সুজন, সাধারণ সম্পাদক রতন সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক গোপাল সাহা, হত্যাকান্ডের শিকার দম্পতির মেয়ে বীনা রানী বর্মন ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যসহ তাদের নিকট আত্মীয়-স্বজন, স্থানীয় ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ বড়কুল গ্রামের কালা সিতা বাড়িতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের কোন এক সময়ে দুর্বৃত্তরা জানালার গ্রীল কেটে দুলাল সাহার ঘরে প্রবেশ করে উত্তম চন্দ্র বর্মণ তুফান (৭০) ও তার স্ত্রী কাজলী রানি বর্মণকে (৫৫) শ^াসরোধে হত্যা করে।শুক্রবার দুপুরে হাত-পা বাধা অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
জানা গেছে, দুলাল সাহা নারায়নগঞ্জে বসবাস করায় গত দুই বছর যাবৎ তুফান ও তার স্ত্রী কেয়ারটেকার হিসাবে তার দালানঘরেই বসবাস এবং গত ৮/১০ বছর যাবৎ তার কাজ-কর্ম করতেন। এছাড়া তিনি স্থানীয় রায়চোঁ (নোয়াহাট) বাজারের মাছ বিক্রেতা করতেন। তিনি উত্তর বড়কুল গ্রামের দাস বাড়ির মৃত হর্মণ চন্দ্র বর্ধনের ছেলে।

শেয়ার করুন