নারীরা স্বাবলম্বী হলে রাষ্ট্রেরও উন্নতি হবে: জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন
চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেছেন, শুধু লেখাপড়া দিয়েই নারীর ক্ষমতায়ন নয়, আত্মমর্যাদাও প্রয়োজন। আপনি স্বাবলম্বী বা অর্থ থাকলে আপনাকে সবাই মর্যাদা দিবে। আপনি যেন স্বাবলম্বী হতে পারেন, নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন তার জন্যেই এই প্রশিক্ষণ নেয়া। এইসব প্রশিক্ষণ গুলোকে গুরুত্ব সহকারে নিতে পারে। নারীকে নারীর পায়ে দাঁড়াতে হবে। নারীরা স্বাবলম্বী হতে পারলে রাষ্ট্রেরও উন্নতি হবে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে শহরের নিশি বিল্ডিং এলাকার মুক্তিযোদ্ধা ভবনের প্রকল্প কার্যালয়ে তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের আওতায় প্রশিক্ষণার্থীদের উৎপাদিত পণ্য ও খাদ্যের প্রদর্শনীর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক বলেন, একটা সংসারে সবচাইতে বেশি পরিশ্রম করে মেয়েরা। নারীরা সংসারে এত কাজ করে কিন্তু তারা কোন টাকা-পয়সা পায় না। আর এই কাজগুলোই যদি অন্য কাউকে দিয়ে করানো হতো তাহলে তার পারিশ্রমিক দিতে হতো।
জেলা প্রশাসক উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের উদ্দেশ্যে আর বলেন, যারা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তা ধরে রাখতে হবে। সমাজে মেয়েরা প্রচুর কাজ করে কিন্তু তার যথাযথ মূল্যায়ণ পায় না। আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগে মেয়েরা যেখানে আছে সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণ দিয়ে নারীদের সাবলম্বী করা। এই প্রশিক্ষণটাকে কাজে লাগাতে হবে। আমরা চাই নারী ক্ষমতায়নটা শুধু কাগজে নয় তা বাস্তবায়ণ করতে হবে। বেঁচে থাকতে হবে আনন্দের সহিত। আন্তরিক হলে এই ৮০ দিনের প্রশিক্ষণটাকে কাজে লাগাতে পারবে।
চাঁদপুর জাতীয় মহিলা সংস্থার জেলা কর্মকর্তা মো. শাহ আলম মুন্সীর সভাপতিত্ব অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো: হাবিবুল্লাহ, প্রশিক্ষক মো: আরিফুল ইসলাম, মো: শামীম হোসেন, শারমিন আক্তার রচনা, মরিয়ম আক্তার, তন্নি আক্তার প্রমূখ।
আলোচনা শেষে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন আয়োজিত নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য ও খাদ্যের প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন।
প্রসঙ্গত, তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্প ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের ৫টি ট্রেডে (বিউটিফিকেশন, ক্যাটারিং, ফ্যাশন ডিজাইন, ইন্টেরিয়র ডিজাইন এন্ড ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, বিজনেস ম্যানেজমেন্ট এন্ড ই- কমার্স) ২৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীদেরকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।