মা ইলিশ রক্ষায় চাঁদপুর হাইমচর মতলবে টাস্কফোর্সের সাঁড়াশি অভিযান
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষ্যে চাঁদপুর জেলায় গঠিত টাস্কফোর্স কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযান
চাঁদপুর প্রতিদিন রিপোর্ট :
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুমকে লক্ষ্য রেখে ‘মা ইলিশ রক্ষার্থে ও ইলিশের প্রজননক্ষেত্র রক্ষার উদ্দেশ্যে মৎস্য সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুমে দেশের নির্দিষ্ট উপকূলীয় এলাকায় ইলিশ মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়। সারদেশের ন্যায় চাঁদপুর জেলার পদ্মা-মেঘনা-ডাকাতিয়া সংলগ্ন এলাকায় ১৩ অক্টোবর হতে ০৩ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশের আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ এবং ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকবে।
এরই ধারাবাহিতায় ২৬ অক্টোবর শনিবার মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সফল করার লক্ষ্যে চাঁদপুর জেলায় গঠিত টাস্কফোর্স কর্তৃক চাঁদপুর সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, লালপুর বাজার, হরিনা ফেরীঘাট, মতলব উত্তর উপজেলার বোরোচর, চর উমেদ, হাইমচর উপজেলার কাটাখালি ঘাট, চরভৈরবী মাছঘাট এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, লে. কর্ণেল জনাব মো: মোয়াজ্জেম হোসেন পিএসসি, অধিনায়ক, ২১ বীর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, চাঁদপুর জেলার পুলিশ সুপার জনাব মুহম্মদ আব্দুর রকিব, পিপিএম, নৌ পুলিশ সুপার জনাব সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জনাব মো: গোলাম মেহেদী হাসান, কোস্টগার্ড কমান্ডার সাব লেফট্যানেন্ট মো: ফজলুল হকসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন।
টাস্কফোর্স কর্তৃক পরিচালিত বিশেষ অভিযানে তিনজন জেলেকে আটকসহ ৫০,০০০ মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়। জব্দকৃত অবৈধ কারেন্ট জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। জেলা প্রশাসক বলেন, মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২৪ উপলক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্স কর্তৃক ইলিশ সমৃপদ রক্ষার্থে প্রথম থেকেই জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ, পোস্টারিং, মাইকিং, সচেতনতামূলক সভাসহ নানাভাবে প্রচারণা চালিয়ে আসছে। এরপরেও আইন অমান্য করে যেসকল জেলে নদীতে জাল ফেলে ইলিশের প্রজননে বাধা সৃষ্টি করছে, তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের মাধ্যমে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি আরও মনে করেন, দেশের অর্থনীতি ও আমিষের চাহিদা মিটাতে ইলিশ সম্পদ রক্ষার্থে মাঠ প্রশাসনের সুষ্ঠু তদারকির পাশাপাশি কঠোর নজরদারি করা যেমন দরকার, ঠিক একই সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতা ও জেলেদের সচেতন হওয়া একান্ত জরুরি।