সেই শিশুর পরিবারকে পুনাকের পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ প্রদান

শিশুটি তার মায়ের কোল ফিরে পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত : ডা. আফসানা শর্মী
কামরুজ্জামান হারুন :
হাসপাতালের সিজারিয়ান বিল পরিশোধ করতে না পেরে বিক্রি হওয়ার পরে উদ্ধার হওয়া সেই শিশু মোঃ আবরারকে উপহার সামগ্রী এবং নগদ অর্থ প্রদান করছেন পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি, চাঁদপুর।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে পুনাক কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির নির্দেশে পুনাক চাঁদপুরের সভানেত্রী ডাঃ আফসানা শর্মী শিশু সামগ্রী, শীতবস্ত্র ও নগদ অর্থ নিয়ে মতলব উত্তরের ছেঙ্গারচর পৌরসভার বারআনি গ্রামে শিশুটির বাড়িতে হাজির হন। এসময় পুনাক চাঁদপুরের সাধারণ সম্পাদক শাহীনা বেগম, দপ্তর সম্পাদক ইশানা আরাফাত ও সদস্য সোনিয়া কামাল উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ইয়াছির আরাফাত, মতলব উত্তর থানার ওসি মুহাম্মদ শাহজাহান কামাল উপস্থিত ছিলেন।
পুনাক সভানেত্রী ডাঃ আফসানা শর্মী বলেন, হারিয়ে যাওয়া শিশুটি তার মায়ের কোল ফিরে পাওয়ায় আমি খুবই আনন্দিত। তাই কেন্দ্রীয় পুনাক সভাপতি জীশান মির্জার নির্দেশনায় আমরা উপহার সামগ্রী ও নগদ অর্থ উপহার নিয়ে এসেছি। আমরা আশা করি সামনের দিনগুলোতেও এই শিশুটির পাশে থাকবো।
পুনাক সভানেত্রী জানান- পুনাক সভানেত্রী জীশান মির্জার দেখানো পথে পুনাক চাঁদপুর সবসময় অসহায় হতদরিদ্র মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। চাঁদপুরে যতদিন থাকবো, এই নবজাতক সন্তানের দেখাশুনা করে যাবো। এছাড়া নবজাতক সন্তানের বাবার জন্য কর্ম ব্যবস্থা করে দিবো যেনো এই পরিবার সুখে থাকতে পারে। সকলের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানাচ্ছি, আমরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে অসহায় মানুষের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেই, তারাও আমাদের পরিবারের অংশ।
উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারী চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার পালস এইড জেনারেল হাসাপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান বিল পরিশোধ করতে না পেরে শিশুটিকে বিক্রি করে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে ঘটনাটি সাংবাদিকদের নজরে আসলে ব্যাপক ভাইরাল হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারী উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশের সহায়তায় শিশুটিকে উদ্ধার করে দরিদ্র মা তামান্না বেগমের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে শিশুটির নাম রাখা হয়েছে মোঃ আবরার। এদিকে শিশুটি জন্ম নেওয়ার আগেই সিজারিয়ানের টাকা জোগাড় করতে না পেরে তার পিতা দিনমজুর মোঃ আলম নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply