হাইমচরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ, মামলা দায়ের
হাসান আল মামুন :
হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নে যৌতুকের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে সোনা মিয়া গাজীর মেয়ে মাকসুদা আক্তারকে মারধর করার অভিযোগে সফিউল্লাহ রাড়ীর ছেলে স্বামী মোঃ হাবিব রাড়ী,এ নিয়ে স্ত্রী বাদি হয়ে স্বামী ও শশুরের বিরুদ্ধে কোটে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ১৮৫/২০২২ ইং।
মামলা সুত্রে জানাযায়, হাইমচর উপজেলার আলগী উত্তর ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামের সোনা মিয়া গাজীর মেয়ে মাকসুদা আক্তার ও একই ইউনিয়নের মহজমপুর গ্রামের সফিউল্লাহ রাড়ীর ছেলে মোঃ হাবিব রাড়ীর সাথে ১৪ ই মার্চ ২০২১ সালে ইসলামী শরা-শরিয়তের বিধান মতে রেজিষ্ট্রেকৃত কাবিননামা মূলে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।বিবাহের সময় মাকসুদা আক্তার তার স্বামী ও শশুরের চাহিদার মোতাবেক ১ ভড়ি ওজনের স্বর্ণের চেইন, ২ ভড়ি ওজনের ২ টি হাতের চুরি, কানের রিং,বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র সহ মূল্যবান কাপড়চোপড় দেওয়া হয়েছে।বিবাহের কিছু দিন ভালোই কাটছিলো,হটাৎ করে তার স্বামী ও শশুরের ভিতর লোভ লালসার কাজ করতে থাকে।
এ ব্যাপারে মাকসুদা আক্তার জানান, গত ১৪ ই মার্চ ইসলামী শরীয়া মোতাবেক মহজমপুর গ্রামের মোঃ ছফিউল্লাহ রাড়ীর ছেলে মোঃ হাবিব রাড়ীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হই।কিছুদিন আমরা সুন্দর ভাবে সংসার জীবন শুরু করি।এমতাবস্থায় আমাদের ১ জন পুত্র সন্তান জন্ম হয়।হটাৎ আমাদের আদরের সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে।আমার শশুর ও স্বামীর অবহেলার কারণে ৬ মাস বয়সেই বিনা চিকিৎসায় আমার আদরের সন্তানটি মারা যায়। আমার শশুর ও স্বামী আমার কাছ থেকে বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে টাকা চাওয়া শুরু করে। যখনই টাকা না দিতে পারতাম তখনি আমাকে মারধর করতো।উল্লেখ্যযে,গত ১৩ ই অক্টোবর আমার শশুর বাড়ি, ২৩ই ডিসেম্বর ২০২২ ইং তারিখে আমার নিজ বাড়িতে মারধর করে।এছাড়াও আমাকে ও আমার বাবা – মাকে নিয়ে গালাগালি করতো এবংকি আমার সাথে খারাপ আচরণ করতো।আমি প্রায় সময় এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গকে জানাইছি।এগুলো আমার পরিবারকে জানালে তারা আমার শান্তির জন্য আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করতো।প্রভাসে যাওয়ার আগে আমাকে মেরে শরীরে বিভিন্ন স্থানে নীলা – ফুলা জখম করে।এমতাবস্থায় আমি এক কাপড়ে ওই বাড়ি হতে আমার বাপের বাড়ি চলে আসছি। এ নিয়ে একটা শালিশি হয়।দরবারের চলাকালীন সময়ে আমার স্বামী ইতালি যাবে বলে ৫ লক্ষ টাকা চাইয়া থাকে।আমি টাকা না দিতে পারলে আমার শশুর ও স্বামী তাদের বাড়িতে আমাকে নিবেনা বলে জানান।এমতাবস্থায় দরবারের শালিশিগন আমার শশুর ও স্বামীর হিংস্র মনোভাব দেখে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই দরবার শেষ হয়ে যায়।
আমার পরিবারের দেওয়া ২ লক্ষ টাকা ও বিবাহ কালীন স্বর্ণালংকার বিক্রি করিয়া উক্ত টাকা নিয়ে আমার স্বামী ওমান চলে যায়।সেখানে গিয়ে কিছু দিন থাকার পর ইতালি প্রবাসী হওয়ার কথা বলে আবার আমার কাছ থেকে ৫ লক্ষ টাকা দিতে বলে।আমার পরিবার অক্ষমতা থাকায় আমি টাকা না দিতে পারলে আমার স্বামী আমাকে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার ও প্রভাসে থেকে কিছু দিন খুব বাজে ব্যাবহার করতো। আমার স্বামী ও শশুর বার বার যৌতুক দাবি করায় আমি কোটে একটি মামলা দায়ের করি।আমার স্বামী বিগত কয়েক প্রায় ২ বছর ৩ মাস যাবৎ প্রবাসে জীবন যাপন করছেন।আমার সাথে কোনো যোগাযোগ বা ভরনপোশন দিচ্ছেন না।তাই আমার প্রার্থনা আসামিগনের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি। মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে।