চাঁদপুর-শরীয়তপুরকে নদী ভাঙনের থেকে রক্ষায় যা যা করণীয়, তাই করবো : উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি

আশিক বিন রহিম :
চাঁদপুরের ১১নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের আলুর বাজার এলাকায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে ৭শ’ ২০ মিটার সতর্কতামূলক প্রতিরক্ষা কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ১৩ মার্চ শনিবার এ উপলক্ষে অনুষ্ঠনে টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর আসনের সংসদ সদস্য ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।
অনুষ্ঠােন প্রধান অতিথির বক্তব্যে একে এম এনামুল হক শামীম এমপি বলেন, চাঁদপুর-শরীয়তপুরকে নদী ভাঙনের হাত থেকে রক্ষায় যা যা করনীয়, আমি তাই করবো। সরকারের এদিকে বিশেষ নজর রয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। যার ফলে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করছি। এবারে আমরা স্বপ্ন দেখছি মেঘনা সেতুর। মেঘনা নদীতে চাঁদপুর- শরীয়তপুর সেতুবন্ধনে মেঘনা সেতু বা টানেল করা হবে। যা দিয়ে রেল চলাচল করবে। আপনাদের শিক্ষামন্ত্রী আমার বড় বোনের মতো। আমরা দুই ভাইবোন মিলে সে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো।


তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব এখন জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ম্যাজিক দেখছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে নিয়ে যাচ্ছেন। এই করোনার মাহারীতেও তিনি সাফল্যের সাথে নেতৃত্ব দিয়েছেন। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব হবে। সেখানে বিশ্বনেতারা আসবেন, এবং অনেকেই শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাবেন।
তিনি বলেন, বিএনপি কেবল ঈদের পর, চাঁদ দেখার পর আন্দোলন করবে বলে যাচ্ছে। কিন্তু তারা ভুলে গেছে আন্দোলন করতে জনগণ লাগে, জনগণের সমর্থন লাগে। এই দেশের মানুষ এখন আর বিএনপিকে দেখতে পারে না। তাদের আন্দোলন মানেই সাধারণ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা। তারা ক্ষমায় থেকে এবং বিরোধী দলে থেকে শুধু মানুষ মারতে পারে, আগুণসন্ত্রাস করতে পারে, দুর্নীতি আর লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করতে পারে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিলো সারা দেশের মতো চাঁদপুর-শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন আর জুলুম করেছিলো। তাদের জুলুম-নির্যাতনে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিতে ঘুমাতে পারেনি। কিন্তু আওয়ামী লীগ ১২ বছর ক্ষমতায় থেকেও তাদের উপর নির্যাতন করেনি। যার ফলে বিএনপি এখনো শান্তিতে ঘুমাতে পারছে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক এই সভাপতি আরে বলেন, বিএনপির সভানেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এতিমের টাকা মেরে জেলে গিয়েছে। তারা অনেক চেষ্টা করেও খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে পারেনি। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দয়ায় তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। অথচ এর পরেও বিএনপি অনেক সিনিয়র নেতা আওয়ামী লীগ এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটুক্তি করে। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। তাদের আর ছাড় দেয়া হবে না। সীমা লঙ্ঘন করলে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ভাইরা তাদের দাঁতভাঙা জবাব দিবে।
চাঁদপুর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদারের সভাপতিত্বে ও শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হুমায়ূন কবির মোল্লা এবং জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, শরীয়তপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছাবেদুর রহমান খোকা সিকাদার, ঢাকা বাপাউবো’র (পূর্ব রিজিয়ন) অতিরিক্ত মহা পরিচালক ফজলুর রশিদ, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মজিবুর রহমান ভূঁইয়া, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী বেপারী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ জহির উদ্দিন, চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১নং ইউনিয়ন ইব্রাহিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাসেম খাঁন, চরসেনসাস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিতু মিয়া বেপারী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাপাউবো কুমিল্লা অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী জহির উদ্দিন আহমেদ, বাপাউবো’র ফরিদপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল হেকিম, চাঁদপুর পওর সার্কেলের (বাপাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ শফিকুল ইসলাম, ফরিদপুর পওর সার্কেলের (বাপাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ সহিদুল আলম, শরীয়তপুর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব, শরীয়তপুর থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান মানিক সরকার।
এছাড়াও অনুষ্ঠনে চাঁদপুর-শরীয়তপুর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply