জাটকা নিধন বন্ধে অসাধু চক্রের তৎপরতা সম্পূর্ণরূপে বন্ধে জেলা প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ : অঞ্জনা খান মজলিশ

পহেলা মার্চ থেকে শুরু হয়েছে জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম, চলবে এপ্রিল মাস পর্যন্ত। নিষিদ্ধ সময়ে অসাধু চক্র যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য কাজ করছে টাস্কফোর্স। নিষেধাজ্ঞার ১২ দিনের মাথায় এ কার্যক্রম সম্পর্কে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ তার ফেইসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে লিখেছেন বিভিন্ন বিষয়। নিচে তা তুলে ধরা হলো-
‘জেলা প্রশাসন এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর জোর তৎপরতার ফলে চাঁদপুরের পদ্মা এবং মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। তবে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানসহ অন্যান্য অভিযান হতে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, নদীর দুর্গম চরাঞ্চল এবং এলাকাসমূহে অসাধু জেলেরা স্থানীয় অসাধু ব্যক্তিদের সহায়তায় নদী থেকে কৃত্রিমভাবে চ্যানেল বা খাল তৈরি করে মাছ ধরা নৌকা এবং দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘবদ্ধ হয়ে অবস্থান করছে। সেইসাথে তাদের অসাধু কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে তারা তাদের ইঞ্জিনচালিত নৌকাগুলোকে ৪ বা ততোধিক ইঞ্জিনবিশিষ্ট দ্রুতগতিসম্পন্ন নৌকায় পরিণত করেছে। ফলে, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে আইনশৃংখলা বাহিনী যখনই তাদেরকে আটক ও নিবৃত্ত করার চেষ্টা করে, তখনি তারা মারমুখী হয়ে পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে থাকে। তাছাড়া, দ্রুতগতি বিশিষ্ট জলযান ব্যবহারের ফলে তাদেরকে আটক করাও অনেক সময় দুরূহ এবং কষ্টকর হয়ে উঠে। এসব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে প্রতীয়মান হয়, সংঘবদ্ধ কতিপয় অসাধু চক্র প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করে নদীতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। এসকল অসাধু চক্রের তৎপরতা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে জেলা প্রশাসন দৃঢ় প্রতিজ্ঞ । তাদের বিরুদ্ধে উত্তরোত্তর জোরদার অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।’
‘এমতাবস্থায়, জেলা প্রশাসন, চাঁদপুরের পক্ষ হতে সংশ্লিষ্ট সকল এজেন্সীসমূহ, আইনশৃংখলা বাহিনী, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, সুশীল সমাজ, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, সাংবাদিকবৃন্দ এবং জনসাধারণের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।’
-জেলা প্রশাসকের ফেইসবুক আইডি থেকে নেয়া।

শেয়ার করুন

Leave a Reply