চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে বিশ্বকবির প্রয়াণ দিবস পালন

রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাওয়া যায় সাহিত্যের সকল ডালপালায় : অতিরিক্ত জেলা ম্যজিষ্ট্রেট বশির আহমেদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে কথা, কবিতা ও গানে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৮১তম প্রয়াণ দিবস পালন করা হয়েছে। ২২ শ্রাবন ৬ আগষ্ট শনিবার বিকেলে সাহিত্য একাডেমি মিলনায়তনে এ আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা ও আইসিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত ও সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির আহ্বায়ক বশির আহমেদ।

চাঁদপুর সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য সচিব শাহাদাত হোসেন শান্ত’র সভাপতিত্বে এবং সদস্য আশিক বিন রহিমের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় কবিগুরুর জীবন ও সাহিত্য কর্ম নিয়ে আলোচনা করেন, সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির সদস্য বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক অজয় কুমার ভৌমিক, ইকবাল হোসেন পাটোয়ারি, মাহাবুবুর রহমান সেলিম, আবদুল্লাহিল কাফী ও জাহাঙ্গীর হোসেন। এছাড়া পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র দাস, দৈনিক প্রভাতী কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক আব্দুল আউয়াল রুবেল, আনন্দ ধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের অধ্যক্ষ রফিক আহমেদ মিন্টু, বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের সভাপতি শামীম আহমেদ, নজরুল গবেষণা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গণি প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ও সাহিত্য কর্ম তুলে ধরেন চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী তাশফিয়া কাফী, কবিতা আবৃত্তি করেন তাফাজ্জল ইসলাম, মুহাম্মদ হানিফ, খোকন মজুমদার।

কথা ও কবিতার ফাঁকে ফাঁকে রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন আনন্দ ধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের শিক্ষক মহিমা লোধ, চয়ন সাহা ও শিশুশিল্প সুভদ্রা চক্রবর্তী।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট এডহক কমিটির আহ্বায়ক বশির আহমেদ বলেন, আমরা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বিশ্ব কবি, কবি গুরু বলে থাকি। যার কারন, তিনি কবিতার মহাসমুদ্রে ভেসেছেন। তাঁর কবিতার গভীরতায় আমরা ডুবি। অসাধারণ ছোট ছোট গল্প রয়েছে কবির। আছে উপন্যাস, প্রবন্ধ। মোটকথা সাহিত্যের এমন কোন শাখা নেই তিনি বিচরণ করেননি।

তিনি আরো বলেন, বিশ্ব সাহিত্য অঙ্গনে এমন একজন সাহিত্যিক পাওয়া দুর্লভ। তিনি বিশ্বের ৩টি দেশের জাতীয় সঙ্গীত লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথকে খুঁজে পাওয়া যায় সাহিত্যের সকল ডালপালায়। অসংখ্য অমর উপন্যাস তিনি লিখেছিলেন। তাঁর কোন কোন উপন্যাস পড়েও অতৃপ্ত থেকে যায়। মনে হয় যেন পড়া হয়নি, আবার পড়ি। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমাদের একজন শিক্ষক বলতেন, মন খারাপ থাকলে রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ করলে মন ভালো হয়ে যায়। বশির আহমেদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ এতো সাহিত্য রচনা করেছেন, তারপরও মনে হয় তিনি অতৃপ্ত থেকেছেন। এতো বয়সে মৃত্যুর ৭ দিন আগেও লিখেছেন। কবি কখনোই লিখে থেমে যাননি। তাই তিনি বিশ্বকবি, তিনি কবিগুরু।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র সাংবাদিক শওকত আলী, ডা বেনজির আহমেদ, সাংবাদিক শাহরিয়া পলাশ, শাহ আলম খান, লেখক হাছিনুর আকরাম, দীন মোহাম্মদ, মো. মিজানুর রহমান শেখ, সুদীপ কর, নন্দ দুলাল চক্রবর্তী, হাফিজুর রহমান, মজিবুর রহমান, আশ্রাফুল ইসলাম, সাদিকা হোসেন প্রমুখ। উল্লেখ্য, গত এক দশকে বা তারও আগে ধরলে এই প্রথম বিশ্ব কবির প্রয়ান দিবস পালন করলো সাহিত্য একাডেমি। পাশাপাশি কবির জন্ম দিবস জাতীয় কবি কাজী নজরলের জন্ম ও মৃত্যু দিবস সাহিত্য একাডেমির আয়োজনে পালন করা হয়নি। বর্তমা এডহক কমিটি আসার পর এই রীতি চালু করলো। যা অব্যাহত থাকবে বলে কমিটির সদস্যরা জানিয়েছেন। এ ২ কবি ছাড়াও খ্যাতিমান আরোসব কবি সাহিত্যিকদের জন্ম মৃত্যু দিবস কিংবা তাঁদের নিয়ে সাহিত্য একাডেমি আলোচনার আয়োজন করবে আগামী দিনগুলোতে। আজকের আয়োজনের শুরতে বঙ্গবন্ধু লেখক পরিষদের চাঁদপুর শাখার সভাপতি কবি ও লেখক, আবৃত্তিকার শামীম আহমেদ সাহিত্য একাডেমির হলরুমের দেয়ালে সাঁটানোর জন্য রবীন্দ্র নজরুলের ২টি ছবি প্রধান অতিথি সাহিত্য একাডেমির এডহক কমিটির আহবায়ক অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বশির আহমেদের হাতে তুলে দেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply