পাকিস্তানের ঝান্ডা প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো : শিক্ষামন্ত্রী

এইচ.এম নিজাম :
জেল হত্যা দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে আলোচনা সভায় টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি।


তিনি তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় শোক দিবসগুলোর মধ্যে আজকের দিবসটি অন্যতম। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে এদেশের মানুষ যেন এগিয়ে যেতে না পারে, সেই জন্যই জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা ৪ নেতাকে স্মরণ করি, তবে আজকের দিনে সারাদেশের মানুষও তাঁদেরকে স্মরণ করছে। বঙ্গবন্ধু চার ঘনিষ্ট সহচরকে হত্যার মধ্যমে দেশকে মেধাশূন্য করে দিতে চেয়েছিলেন। মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সাথে আপোষ করেননি। ৭১ পরাজিত শক্তিই ৭৫ এ বঙ্গবন্ধুর স্ব পরিবারকে হত্যা করেছিলো। তারা ৭১ পরাজয়কে মেনে নিতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উপরও বার বার হামলা চালিয়েছিলেন তারা। পাকিস্তানের ঝান্ডা প্রতিষ্ঠিত করতে বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় ৪ নেতাকে হত্যা করা হয়েছিলো।
তিনি আরো বলেন, আজ জেল হত্যা দিবসে আমাদের শপথ নিতে হবে আগামী দিনে এই অপশক্তিদের আর ক্ষমতায় না আনার। বর্তমানে দেশকে অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে স্বাধীনতা বিরোধী চক্র বিভিন্ন জায়গায় ত্রাস সৃষ্টি করতে চাইছে। এই অপশক্তিকে রুখে দিতে প্রতিটি নেতা-কর্মী সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্য আহ্বান জানান তিনি।
পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাধা গোবিন্দ গোপের সভাপতিত্বে এবং দপ্তর সম্পাদক এমরান হোসেন সেলিমের যৌথ সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ আহমেদ মিঠু, সাংগঠনিক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, সদস্য অ্যাড. সাইফুদ্দিন বাবু, আলমগী হোসেন ভূঁইয়া, ১নং ওয়ার্ডের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন মানিক, ৩নং ওয়ার্ডের সভাপতি মো. মফিজ বেপারী, ৪নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম বিপ্লব, ১২নং ওয়ার্ডের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হারুন ভূঁইয়া, ১০নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ নেতা আমির হোসেন বাপ্পি প্রমুখ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply