জেলহত্যা দিবসে চাঁদপুর জেলা আ’লীগের ব্যানারে পালিত হয়নি কোন কর্মসূচি

সভাপতি-সম্পাদকের অনুপস্থিতি পৌর আওয়ামী লীগ অনুষ্ঠানেও!
নিজস্ব প্রতিবেদক :
৩রা নভেম্বর জেলহত্যা দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করার কথা থাকলেও চাঁদপুরে জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে এই প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হয়নি। এছাড়া চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ওইদিন সন্ধ্যায় আলোচনা সভা হলেও সেই সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাছির উদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম দুলাল পাটওয়ারী কেউই ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হননি। এনিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ও পুরো আওয়ামী লীগ পরিবারের ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে এই দু’জন ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সাথে সম্পৃক্ত অনেকেই ওই আলোচনা সভায় ছিলেন। তবে স্থানীয় পত্রিকায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলহত্যা দিবসের একটি কর্মসূচি পাঠান ও শহরে ম্ইাকিংও করা হয়। সেখানে বলা ছিল চার নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান, তবারক বিতরণের কথা। কিন্তু দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং মাল্যদান করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, ওইদিন সকালে আমরা চাঁদপুর পৌরসভার নবনির্বাচিত মেয়র অ্যাড. জিল­ুর রহমান জুয়েলসহ জেলা আওয়ামী লীগের ও পৌর আওয়ামী লীগের কিছু নেতা, পৌর কাউন্সিলররা বঙ্গবন্ধু ও চার নেতার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন। সেই অনুষ্ঠানেও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক উপস্থিত হননি। তিনি বলেন, আমি বিস্মিত এবারই জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে জেলহত্যা দিবস পালিত হলো না কেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে কোন আলোচনাও রাখা হয়নি। অথচ জেলা আওয়ামী লীগের ভবনেই চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের আয়োজনে বিকেলে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এটি সত্যিই দুঃখজনক। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদক যদি কর্মসূচী না-ই বা করেন তাহলে মাইকিং করে প্রচার করলেন কেন? আমাদেরও কিছু বলেননি। যদি বলতেন তাহলে আমরাও কিছু একটা করতাম। যেখানে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনীহা সেখানে এ ধরনের একটি দিবসের কর্মসূচিতে আমাদের দুঃখপ্রকাশ ছাড়া কোন কারণ নেই।
এদিকে পৌর আওয়ামী লীগ আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করা নেতা-কর্মী, সমর্থকরা বললেন, শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন। প্রসঙ্গত গত ১০ অক্টোবর চাঁদপুর পৌরসভা নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ মনোনীত বিজয়ী নৌকা প্রার্থী অ্যাড. জিল­ুর রহমান জুয়েলের শপথ অনুষ্ঠানেও এই দুই নেতা ছিলেন অনুপস্থিত। এছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে নবনির্বাচিত পৌর মেয়রকে কোনরকম আনুষ্ঠানিক বা অনানুষ্ঠানিকভাবে অভিননন্দন জানানো হয়নি। এনিয়েও জেলা আওয়ামী পরিবার ছাড়িয়ে বাইরেও সাধারণ ভোটার, নাগরিকদের মধ্যে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড় বইছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply