মতলব উত্তরের আল আমিনের পয়সা মাল্টা

ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, চাঁদপুর
মাল্টা। সুস্বাদু এক ফলের নাম। কমলালেবুর পাশাপাশি এই ফল এখন বাংলাদেশের মানুষের কাছে বেশ প্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এই মাল্টা উৎপাদন হলেও বাণিজ্যিক হোক আর সখের বশেই হোক চাঁদপুরে এর বিস্তৃত ঘটেনি। তবে এই ফল উৎপাদনে এগিয়ে এসেছেন মতলব উত্তর উপজেলার কলাকান্দা ইউনিয়নের সাতানি গ্রামের যুবক আল আমিন। আল আমিনের আরেকটি পরিচয় তিনি ঐ ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার। তার মাল্টা বাগান দেখে যে কেউই মুগ্ধ হবেন। মাত্র ৪০/৪২ টি গাছ। কিন্ত এক একটি গাছে যে পরিমাণ মাল্টা ধরেছে দেখলে অবাক না হয়ে উপায় নেই। একটি গাছেও শতাধিক এর কম ফল নেই। আর স্বাদ? বাজারের যে কোন মাল্টা থেকে সুস্বাদু। সাইজও বেশ বড়।


বাগান মালিক আল আমিন বলেন, ৪ বছর আগে ৫০টি মাল্টা চারা আনেন নরসিংদীর একটি নার্সারি থেকে। কয়েকটি মরে গেলেও অধিকাংশই টিকে যায়। পরের বছর থেকেই মাল্টা আস্তে আস্তে ধরা শুরু করে গাছগুলোতে। তিনি বলেন, এই জাতের মাল্টা অন্যসব মাল্টার মতো হলুদ হয় না। পাকলে সবুজ রঙই থাকে। তবে সামান্য হলুদ হয়। আর এর মুখ বরাবর পয়সাকৃতি বলে এর নাম পয়সা মাল্টা। আল আমিন জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ টাকার মতো ফল তিনি বিক্রি করেছেন। এই বিক্রি আরো ২ মাস বিক্রি করতে পারবেন। ২০ শতক জমিতে তিনি এই বাগান করেছেন। সামনে প্রতিটি গাছে তিনি কলম দেবেন এবং সেখান থেকেও আয় তিনি পাবেন। অপ্রিয় হলেও সত্য, এই ছায়া সুনিবিড় গ্রামে এতো সুন্দর মাল্টা বাগানের খবরাদিই জানে না উপজেলা কৃষি অফিস।


এই বাগান আরো বড় ও সম্মৃদ্ধ করতে চান আল আমিন। আর তার এই মাল্টা চাষ সম্পর্কে কেউ যদি কিছু জানতে চান, কোন তরুণ বাগান করতে তার সাহায্য চান, তাহলে তিনি তা করবেন।
চাঁদপরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, বুধবার ঐ এলাকায় গেলে জানতে পারি মাল্টা বাগানটির কথা। তারপর তো গিয়ে তা দেখে মুগ্ধ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। খেয়ে দেখলাম বেশ সুস্বাদু এই মাল্টা। ইউএনও মতলব উত্তরকে বলেছি- উপজেলা কৃষি অফিসারকে এই বাগানটি ভিজিট করে এই মেম্বার সাহেবকে সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদানের জন্য।
মতলব উত্তর স্নেহাশিষ ঘোষের সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমরা তরুণ জনপ্রতিনিধি আল আমিনের মাল্টা বাগানটি দেখভাল করার জন্য ইতিমধ্যে উপজেলা কৃষি অফিসকে বলে দিয়েছি। আর আমি নিজেও নজরে আনছি বাগানটিতে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply