সাহিত্য মঞ্চের আয়োজনে চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো জোৎস্না উৎসব

সাংস্কৃতির সাথে অপসাংস্কৃতির একটা যুদ্ধ বহুকাল ধরেই চলছে : পৌরমেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
ফাল্গুনের ভরা পূর্ণিমা রাতে চাঁদপুরে প্রথমবারের মতো জোৎস্না উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। সাহিত্য মঞ্চের আয়োজন ও আপন এর সহযোগীতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি রোববার পূর্ণিমারাতে চাঁদপুর পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ মাঠে যাযাবর ভবনের সামনে এই আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়। ভরা পূর্ণিমার এ রাতে কথা, কবিতা পাঠ ও গান পরিবেশনের মধ্য দিয়ে জোছনা বন্দনা করেন সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মীরা।


অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান জুয়েল। সাহিত্য মঞ্চের সভাপতি কবি মাইনুল ইসলাম মানিকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক কবি আশিক বিন রহিমের সঞ্চালনায় জোছনা উৎসব সম্পর্কিত সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন, আনন্দধ্বনি সংগীত শিক্ষায়তনের সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমেদ মিন্টু, বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি পরিষদের উপদেষ্টা কবি ও প্রাবন্ধিক ডা. পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, আপন এর উপদেষ্টা ডা. মাসুদ হাসান, কবি ও গল্পকার মুহাম্মদ ফরিদ হাসান। আমন্ত্রিত অতিথিদের শুভেচ্ছা জানান জোছনা উৎসবের সহযোগী সংগঠন আপনের প্রতিষ্ঠাতা ও আহ্বায়ক রোটারীয়ান ডা. রাশেদা আক্তার।
অতিথিদের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে জোছনার কবিতা পাঠ করেন, কবি ও লেখক তছলিম হোসেন হাওলাদার, ইকবাল পারভেজ, মাহবুবুর রহমান সেলিম, খাইন-ই-আজম, ম. নূরে আলম পাটোয়ারী, শাহমুব জুয়েল, মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, কবির হোসেন মিজি, নুরুন্নাহার নিশি, মেহেদী হাসান রানা, ওমর ফারুক, নিঝুম খান।
রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন বরেণ রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী ও সংগীত শিক্ষক রফিক আহমেদ মিন্টু, চয়ন সাহা। ফোক গান পরিবেশেন করেন কণ্ঠশিল্পী শুভ্র রক্ষিত, রাজীব চৌধুরী, মুন্না, কবির হোসেন মিজি প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল বলেন, সাংস্কৃতির সাথে অপসাংস্কৃতির একটা যুদ্ধ বহুকাল ধরেই চলছে। কিন্তু দিনশেষে সুস্থ্য ধারার সাংস্কৃতির বিজয় অনিবার্য। আজকের এই ভরা পূর্ণিমার রাতে জোছনার আলোয় চমৎকার পরিবেশে ভিন্নধর্মী একটি আয়োজনে আসতে পেরে আমার খুবই ভালো লাগছে। চাঁদপুরে জোছনাকে বন্দনা করে খোলা আকাশের নিচে এটিই প্রথম আয়োজন। এজন্য আমি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই ধরনের আয়োজন আগামীতেও আরো বড় পরিসরে হবে সেটি আশা রাখছি।
তিনি বলেন, একই রকম গান পরিবেশ কিংবা সময়ের পেক্ষিতে একেক রকম আবেদন রাখে। যেমন রবীন্দ্রসংগীত সকালে শুনলে তা একরকম উপভোগ করা যায়, দুপুরে আরেক রকম এবং রাতে আরেক রকম। তেমনি এমন চাঁদের আলো গান কিংবা কবিতা যাই উপস্থাপন হবে তাই ভালো লাগবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়। গানের গলা কিংবা আবৃত্তির শব্দচয়নে যদি ভুল থাকে সেটিও ভালো লগবে। এই ধরনের আয়োজনের মমধ্যদিয়ে আমাদের তরুণ এবং নতুন প্রজন্ম সুস্থ্য ধারার সাংস্কৃতিক চর্চায় মনোনিবেশ করবে সেই আশা রাখছি।
জোছনা উৎসবের সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন সাহিত্য মঞ্চের নির্বাহী সদস্য নার্গিস ত্বন্নি, বেলাল হোসাইন, চাঁদপুর টেলিগ্রাফের প্রতিষ্ঠাতা আসেফ লিটন। আয়োজনের সহযোগিতায় ছিলো সামাজিক সংগঠন আপন। আয়োজকদের পক্ষ থেকে পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদানহ কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানানো হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply