হাজীগঞ্জের বালুর মাঠের মাছ বাজারের ইজারা বাতিল, মেয়রের প্রতি মাছ ব্যবসায়ীদের কৃতজ্ঞতা

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :

হাজীগঞ্জে মাছ ব্যবসায়ীদের স্বার্থে হাজীগঞ্জ বাজারস্থ বালু মাঠের (গাজীর খাদা) অস্থায়ী মাছ বাজারের ইজারা স্থায়ীভাবে বন্ধ করে মাছ ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ালেন পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) হাজীগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয় থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

জানা গেছে, হাজীগঞ্জ বাজারস্থ তরকারি পট্টি ও পৌর হকার্স মার্কেটে পৌরসভা কর্তৃক দুইটি স্থায়ী এবং পশ্চিম বাজারস্থ বালুর মাঠে (গাজীর খাদা) অস্থায়ী একটি মাছ বাজার রয়েছে। এর মধ্যে তরকারি পট্টিতে প্রতিদিন ভোর থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত, হকার্স মার্কেটে বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এবং বালুর মাঠে সন্ধ্যা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মাছ বিক্রি হয়ে থাকে। এতে একজন মাছ বিক্রেতাকে তিন স্থানেই খাজনা দিতে হয়।

এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে মাছ বিক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ ছিল। পরবর্তীতে সকল মাছ বিক্রেতা একত্রিত হয়ে অস্থায়ী মাছ বাজারটি উচ্ছেদের দাবী জানিয়ে গত ২৫ জানুয়ারী পৌর মেয়রের কাছে একটি লিখিত আবেদন করেন। পৌর মেয়র আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন মাছ ব্যবসায়ীদের কথা ও তাদের ব্যবসায়ীক স্বার্থ বিবেচনা করে বালুর মাঠের অস্থায়ী মাছ বাজারটির ইজারা বন্ধের উদ্যোগ নেন।

যার ফলশ্রæতিতে গত ৮ ফেব্রæয়ারী চাঁদপুরের স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত পৌরসভা কর্তৃক হাট-বাজার ইজারা বিজ্ঞপ্তিতে বালুর মাঠের অস্থায়ী মাছ বাজারটি ইজারা দেওয়ার কথা উল্লেখ নেই। পৌর মেয়রের এমন আন্তরিকতা দেখে মাছ ব্যবসায়ীরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তারা পৌর মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

পৌর মেয়রের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মাছ বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. শাহআলম ও মাছ বিক্রেতা মো. এরশাদ হোসেন এসু (কালু মিয়া) জানান, আমরা একবার মাছ কিনি (ক্রয়) কিন্তু তিনবার খাজনা দেই। এতে দীর্ঘদিন ধরে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছি।

তারা বলেন, অবশেষে আমাদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে এবং আমাদের কথা চিন্তা করে পৌর মেয়র অস্থায়ী মাছ বাজারটি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছেন। ওনার মাধ্যমে আমরা সবাই উপকৃত হয়েছি। এজন্য সকল মাছ ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে আমরা ওনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ওনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।

এ বিষয়ে পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ.স.ম মাহবুব-উল আলম লিপন বলেন, মাছ ব্যবসায়ীদের আর্থিক দিক বিবেচনা করে এবং তাদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে বালুর মাঠের অস্থায়ী মাছ বাজারটি স্থায়ীভাবে বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, নতুন করে প্রকাশিত ইজারাটি কার্যক্রর হলে বালুর মাঠের (গাজীর খাদা) অস্থায়ী মাছ বাজারটি স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন