হাজীগঞ্জে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানের কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিলো প্রতারক

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের নিখোঁজ যুবকের সন্ধানের কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে এক প্রতারক। রাশেদকে সীতাকুণ্ড এলাকায় পাওয়া গেছে। সে খুব অসুস্থ্য এবং হাসপাতালে ভর্তি। এসব বলে হাজীগঞ্জ থানার ওসি তদন্ত কে একটি গ্রামীন অপারেটরের নাম্বার থেকে ফোন করে এক প্রতারক। প্রতারক নিজেকে সীতাকুণ্ড থানার এসআই মিনাজ বলে পরিচয় দেয়। প্রতারক হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. সেলিম এর কাছ থেকে রাশেদের পরিবারের নাম্বার নেয় এবং রাশেদের চিকিৎসার কথা বলে বিকাশের মাধ্যমে ৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।
ফেসবুকে আত্মহত্যার আবেগঘন র্দীঘ স্ট্যাটাস দিয়ে রাশেদ নিখোঁজ হন। সোমবার সন্ধ্যায় নিখোঁজ যুবক তার ফেসবুকে কেন সে আত্মহত্যা করতে চায় সে ব্যাপারে র্দীঘ একটি র্দীঘ স্ট্যাটাস দেয়। স্ট্যাটাসে তার আত্মহত্যার জন্য সেলিনা নামে এক নারী ও তার ভাই দায়ী থাকবে বলে উল্লেখ করেন। নিখোঁজ যুবকের পরিবার সারারাত খোঁজাখোজি করে কোথায়ও না পেয়ে পরেরদিন মঙ্গলবার দুপুরে হাজীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি করে।
নিখোঁজ যুবক চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার ৬নং বড়কুল পূর্ব ইউনিয়নের আড়ুলী বেপারী বাড়ির মো. হূমায়ন আহমেদ এর ছেলে মো. রাশেদুজ্জামান (২৫)। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রাশেদই পরিবারের বড় সন্তান।
হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. সেলিম জানান, সকালে হাজীগঞ্জ থানার ওসি তদন্তের কাছে একটি ফোন আসে। সে নিজেকে সীতাকুণ্ড থানার এসআই মিনাজ বলে পরিচয় দেয়। সে রাশেদকে পেয়েছে বলে তাঁর পরিবারে নাম্বার চায়। আমিও তার সাথে কথা বলি। পরে তার নাম্বার বন্ধ দেখে আমরা সীতাকুণ্ড থানায় যোগাযোগ করি। যোগাযোগ করে বুজতে পারি সে প্রতারক। তার নাম্বারটি এখন বন্ধ রয়েছে।
হাজীগঞ্জ থানা অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, রাশেদকে সীতাকুন্ডে পাওয়া গেছে তথ্যটি সঠিক নয়। আমরা চেষ্টা করছি তাকে খুঁজে বের করতে।
রাশেদুজ্জামানের বন্ধু আল ফোরকান বলেন, হাজীগঞ্জ থানা থেকে আমাদের জানানো হয়েছে রাশেদকে সীতাকুণ্ড পাওয়া গেছে। সীতাকুণ্ড থানার এক এস আই তাকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি করায়। আমরা এমন খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড রওনা করি। কিন্তু কিছুক্ষন যেতেই দেখি সীতাকুণ্ড থানার পরিচয় দেওয়া সে এস আই এর নাম্বারটি বন্ধ। পুনরায় আমরা হাজীগঞ্জ থানায় যোগাযোগ করি। হাজীগঞ্জ থানা আমাদের জানায় তথ্যটি সঠিক ছিলনা। এবং এসআই পরিচয় দেওয়া লোকটি ভূয়া এবং প্রতারক। আমরা রাশেদের চিকিৎসার জন্য ওই প্রতারককে ৮ হাজার টাকা দিয়েছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply