হামলা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে রেহাই পেতে আইনজীবীর সংবাদ সম্মেলন

আশিক বিন রহিম :
একেরপর এক হামলার বিচার এবং হয়রানিমূলক মিথ্যে মামলা থেকে রেহাই পেতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ঢাকা সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। ১৫ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টায় চাঁদপুর প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করে অসহায় পরিবারটি।
লিখিত বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাড. হুমায়ূন কবির চৌধুরী বলেন, চাঁদপুর হাজীীগঞ্জ উপজেলার ৯নং গন্ধব্যপুর ইউনিয়নের মালিগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হাজী মো. আক্কাছ আলী চৌধুরী ২০০১ সালে বিএস ও এসএ ৬৯৮ বিএস ৭৫১ দাগে ১৬২৪/০১, ১৬২৫/০১, ৪৭০৭/০২ তিন খন্ড সাব কবলা দলিল মূলে ৩২ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু জমিটি দখল করতে একই গ্রামের প্রতিবেশি মৃত আব্দুল লতিফ বেপারীর পুত্র মো. আবুল খায়ের মনা, দেলোয়ার হোসেনের পুত্র রিপন হোসেন, মৃত ছফিউল্লাহর পুত্র জাহাঙ্গীর হোসেন ও মো হারেছের পুত্র মানিক মিয়াসহ স্থানীয় একদল ভূমিদস্যু বারবার মিথ্যা মামলা ও হামলা করে আসছে। চক্রটি প্রথমে ওই জমি অর্পিত সম্পত্তি দাবী করে মামলা করে। আদাল সেই মামলা অবমুক্ত করে দেয়। এরপর চক্রটি ওই সম্পত্তি তাদের লিজকৃত সম্পত্তি দাবী করে মামলা করে। সেই মামলার রায়ও হাজী মো. আক্কাছ আলী চৌধুরীর পরিবারের পক্ষে আসে। এর পরেও ওই চক্রটি এ পর্যন্ত থানা এবং আদালতে ১৮টি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে।
অ্যাড. হুমায়ূন কবির চৌধুরী আরো বলেন, এছাড়াও উল্লেখিত ভূমিদস্যু চক্রটি ভারাটে সন্ত্রাসী দিয়ে বার বার হামলা করে আসছে। তারা বাড়িতে না থাকায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে কুপিয়ে জখম করেছে। ১৩ বছর ধরে তাদে নির্মাণাধীন বসত বাড়ির কাজ সম্পন্ন করতে বাঁধা দিচ্ছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর সিআইডি পরিচয়ধারী ৫ ব্যক্তিকে পাঠিয়ে তাদের বসতঘর তছনছ করে দেয়। এসপি বশির পরিচয় দেয়া এক ব্যক্তি পুলিশকে প্রভাবিত করছে বলেও জানান তিনি।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এইচএম আহসান উল্লাহর পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নোত্তর পর্বে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিএম হান্নান, শহিদ পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী, ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, সোহেল রুশদী, সাংবাদিক শাহাদাত হোসেন শান্ত, চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য অ্যাড. নাজমুল হক তালুকদার, আলমগীর হোসেন চৌধুরীসহ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীগণ।

শেয়ার করুন

Leave a Reply