কচুয়ায় বোরো ধানের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

কচুয়া প্রতিনিধি :
কচুয়ায় চলতি মৌসুমে বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনেক কৃষকেরা এ ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছে। নতুন ধানের বাজার মূল্য এখন ভাল থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। ফলন ভাল পেয়ে কৃষকের চোখে মুখে এখন আনন্দের বন্যা বইছে। কষ্টের ফসল সুষ্ঠ ভাবে ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পারছেন কৃষক। এলাকায় কৃষক ও দিনমজুর সংকট থাকায় শ্রমিকের দামও দিতে হচ্ছে বেশি। অন্যদিকে কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন কৃষকরা। সোনার ফসল মাঠ থেকে বাড়িতে না উঠানো পর্যন্ত কৃষকের চিন্তার শেষ নেই। উপজেলায় চলতি মৌসুমে ১২ হাজার ৫শ’ ১৫হেক্টার জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে তবে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ২শ ২৫ হেক্টর। এদিকে উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে বোরো ও ইরি ধানের ফলন ভালো হয়েছে।
পালাখাল,তেগুরিয়া,সাচার,যুগিচাপড়সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক সফিক হোসেন,স্বপন,আবুল বাসারসহ একাধিক কৃষকরা জানান, গত বছরের চেয়ে চলতি বছরে আমাদের বোরো ধান অনেক ভালো হয়েছে। এদিকে শ্রমিক সংকট দেখা দেয়ায় বাইরে থেকে ৪ থেকে ৫শ’ টাকা দিয়ে ধান কাটার শ্রমিক আনা হচ্ছে। কালবৈশাখী ঝড়-বৃষ্টির ভয়ে আমরা অতিরিক্ত টাকা দিয়েই শ্রমিক কিনে ধান ঘরে তোলার চেষ্টা করছি। তারা আরো জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে গরম বাতাসে কিছুটা ধান নষ্ট হলেও কৃষি অফিসের পরামর্শে সার প্রয়োগ করায় ভালো ফলন হয়। এতে করে আমরা অনেকটাই খুশি। আশাকরি এবছর ধানের দাম ভালো পেলে আগামীতে আরো বেশি ধানের আবাদ করব।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সন্তোষ চন্দ্র দেবনাথ বলেন, উপজেলায় ১২ হাজার ৫শ’ ১৫হেক্টার জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে তবে লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১২ হাজার ২শ ২৫ হেক্টর। গত বছরের চেয়ে এবার ইরি বোরো ধান চাষাবাদ বেশি হয়েছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় এবার ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। কালবৈশাখী ঝড়ের আশংকায় কৃষকদের পাকা ধান কাটার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং বর্তমান চলতি মৌসুমে ধানের দাম বৃদ্ধি করলে কৃষকরা অনেকটাই উপকৃত হবেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply