চাঁদপুরে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন আগামীকাল
নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে চাঁদপুরে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯ ফেব্রুয়ারী রোববার দুপুর ১ টায় চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের হলরুমে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এবার জেলার চাঁদপুর জেলার ৮টি উপজেলা ও ২টি পৌরসভায় মোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৮শ’ ৮৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী মোট ৩ লাখ ৬ হাজার ৬শ’ ৫৮ জন শিশু এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী মোট ২ লাখ ৮৪ হাজার ৯শ’ ৮৫ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। জেলার মোট ২১১৫টি কেন্দ্রে ক্যাম্পেইন সঠিক তদারকির জন্য ৫০৫ জন কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন। ২০ ফেব্রুয়ারী সকাল ৮টা হতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কার্যক্রম চলাবে।
আরো জানা যায়, ভিটামিন ‘এ’ শিশুর অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে, শিশুর শারীরিক বিকাশে সাহায্য করে, ভিটামিন এ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমায়। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারী ১দিন ব্যাপী সারাদেশে জাতীয় ভিটমিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপিত হবে। ওইদিন ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১০০০০০ আইইউ) এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২০০০০০ আইইউ) খাওয়ানো হবে। গত রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের ৬-১১ মাস বয়সী শিশুর লক্ষমাত্রা ছিল ৩৬,৪৩০ জন, ভিটামিন প্রাপ্ত হয় ৩৫, ৯৯৮ জন, অর্জনের হার ৯৮.৮১%, গত রাউন্ডে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুর লক্ষমাত্রা ছিল ২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৮ জন, ভিটামিন প্রাপ্ত হয় ২ লক্ষ ৮৩ হাজার ১ শ’ ৫ জন, অর্জনের হার ৯৯.৩৩%।
সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেনের সভাপতিত্বে ও মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোঃ শাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি এএইচএম আহসান উল্লাহ, সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, শরীফ চৌধুরী প্রমুখ।
সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শতভাগ সফল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এজন্য গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করি।
তিনি বলেন, অসুস্থ ছাড়া সকল বাচ্চাই এ প্লাস ভিটামিন ক্যাপসুল খেতে পারবে। এর কোন পাশ্ব পতিক্রিয়া নেই। অনেকে ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। ৬ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল বাচ্চাই এ প্লাস ভিটামিনটি খেতে পারবে। এটা খুবই ভাল মানের। এটা রেনেটা কোম্পানীর জার্মানী থেকে আসে। এ ভিটামিনের গুরুত্ব সকলকে বুঝাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বের ১৫১টি দেশে বাংলাদেশ ঔষধ সরবরাহ করে থাকে। করোনা মোকাবেলায় আমরা ৫ম হয়েছি। যারা এ ভিটামিনের আওতা থেকে বাদ পড়েছে তাদেরকে এ ভিটামিনের আওতায় আনার জন্য আমরা কাজ করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, মানহীন ও লাইসেন্সবিহীন ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে। বর্তমানে এই বার্যক্রম একটু ধীর হলেও অচিরেই তা সকলের সামনে দৃশ্যমান করা হবে। সবসময় আপনাদের সহযোগিতা কামনা করি।