অনিয়ম-অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৭নং কচুয়া দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান বিরুদ্ধে অনাস্থা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের কচুয়ার ৭নং কচুয়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম, অর্থ আত্মসাত ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা জানিয়েছেন পরিষদের মেম্বাররাগণ। পরিষদের ৯ জন মেম্বার স্বাক্ষরিত ওই অনাস্থাপত্রটি গতকাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ কয়েকটি দফতরে জমা দেয়া হয়। এর অনুলিপি দেয়া হয়েছে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে।
অনাস্থাপত্রে উল্লেখ করা হয়, ৭নং কচুয়া দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন শপথ গ্রহণের পর থেকে তার নিজ খেয়াল-খুশি মতো ইউনিয়ন পরিষদের কাজসমূহ করে আসছেন। তিনি নিয়মিত মাসিক সভা করেন না। সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিধান থাকলেও তিনি কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে নিজ ইচ্ছায় প্রকল্প গ্রহণ করেন, কমিটি প্রদান করেন। কমিটির কারো স্বাক্ষর গ্রহণ না করে জালিয়াতির মাধ্যমে বিল উত্তোলন ও আত্মসাৎ করেন।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, দীর্ঘ ৪৯ মাসের মধ্যে স্থাবর সম্পত্তির বিপরীতে (১ ভাগ) যেসব বরাদ্দ এ পরিষদে দেয়া হয়েছে তা আমাদের না জানিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নিজে বিভিন্ন ভুয়া-অদৃশ্যমান প্রকল্প দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেন। এ বিষয়ে আমরা তাকে বুঝানোর চেষ্টা করলে তিনি আমাদেরকে হুমকি-ধমকি দেন। তাই পরিষদের সকলে মিলে এক যোগে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রদান করলাম। সেই সাথে এসব বিষয় তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ারও অনুরোধ জানান তারা।
অনাস্থপত্রে স্বাক্ষর করেন ১নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. শাহজাহান, ২নং ওয়ার্ডের মো. মানিক, ৩নং ওয়ার্ডের আব্দুল খালেক, ৪নং ওয়ার্ডের আসাদুজ্জামান মুন্সি, ৫নং ওয়ার্ডের মো. বিল্লাল হোসেন, ৬নং ওয়ার্ডের শরিফুল ইসলাম, ৭নং ওয়ার্ডের মো. মনির হোসেন, ৮নং ওয়ার্ডের নাজমুল হাসান এবং ৯নং ওয়ার্ডের মো. হাসানাত।
এ বিষয়ে কচুয়া দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন বলেন, আমার বিরুদ্ধে গুজব রটাতে তারা উঠেপড়ে লেগে আছে। মেম্বারদের অনিয়মের কাজে আমি সমর্থন না জানায় তারা আমার বিরুদ্ধে অপ্রচার চালাচ্ছে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাদের কোন কাজ-কর্ম নেই। তারা এটাকেই পেশা মনে করে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply