একটি রাস্তার আর্তনাদ

চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলার ১০ নং গোহট উত্তর ইউনিয়নে অবস্থিত ‘বাতাবাড়িয়া’ গ্রাম। এ গ্রামে প্রায় দশ হাজার লোকের বসবাস। এ গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া পাকিস্তান পিরিয়ডের একটি রাস্তা ৩০ বছর পূর্বে প্রশস্ত করে পুনঃসংস্কার করা হয়। বিখ্যাত রহিমানগর বাজার-এর অদূরে যথাক্রমে নাউলা, আইনগিরি, তালতলীর পাশ দিয়ে মাধাইয়া পর্যন্ত যে রাস্তাটি বয়ে গেছে সেই রাস্তাটির নাউলা, আইনগিরি ও তালতলীর যে লিংক রোডগুলো রয়েছে উক্ত লিংক রোডগুলোর সবকটি রোড পাকাকরণ সম্পন্ন হয়ে গেছে। কোনোটি পাকাকরন সম্পন্ন হয়েছে প্রায় ১৫ বছর পূর্বে আবার কোনোটি ১০ বছর পূর্বে এবং মাঝে মাঝে এগুলোর সংস্কার কাজও চলে। নাউলার লিংক রোডটি আইনগিরি ও বাতাবাড়িয়া হয়ে তালতলী ও হাশিমপুর রাস্তার সাথে সংযুক্ত হয়। দুঃখের বিষয় হলো উক্ত লিংক রোডটির প্রথম অংশ অর্থাৎ নাউলা থেকে শুরু হয়ে আইনগিরীর (খানেকা পর্যন্ত) সীমানা পর্যন্ত পাকাকরণ শেষ হয় আবার অন্য এক সময় রাস্তার অপর প্রান্ত (তালতলী) থেকে অর্থাৎ তালতলী সীমানা পর্যন্ত পাকাকরণ শেষ হয়। শুধুমাত্র মাঝখানের অংশটুকু প্রায় আধা কিলোমিটার যে অংশটুকু ‘বাতাবাড়িয়ার’ অংশে পড়েছে সেই অংশটুকু পাকাকরণ হয়নি। শুনেছি কয়েকবার অনুমোদন হয়েছে কিন্তু কী কারণে শেষ পর্যন্ত পাকাকরণ হয়না তা আমার বোধদয় নয়। আমরা বাতাবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা যারা এখনও অন্য গ্রামের উন্নয়নের দিক দিয়ে অনেক অবহেলিত। বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে কোন গাড়ি আমাদের গ্রাম পর্যন্ত আসতে চায় না। এ গ্রামের শিক্ষার্থীগণ চাইলে কোন গাড়ি দিয়ে বাতাবাড়িয়া গ্রামের রাস্তা দিয়ে যেতে পারেনা। পাবলিক পরীক্ষার সময় অন্য গ্রামের রাস্তায় গিয়ে গাড়িতে উঠে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে হয় অথচ আমাদের গ্রামের রাস্তা থাকা সত্ত্বেও উক্ত গ্রামের রাস্তা দিয়ে গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করতে পারিনা। দূর-দূরান্তে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসায় যাওয়ার সময় ছাত্র-ছাত্রীরা বৃষ্টির দিনে কোন গাড়িতে যাতায়াত করার ইচ্ছা পোষণ করলেও তা সম্ভব হয় না। কেননা বৃষ্টির দিনে এ রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ি চলে না। তাই ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতিকূল আবহাওয়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাসে উপস্থিত থাকার ইচ্ছা থাকলেও বর্ষার দিনে রাস্তার দুরবস্থার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থাকতে হয়। এতে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশে ভাটা পড়ে। একজন গর্ভবতী মাকে নিয়ে উক্ত রাস্তা দিয়ে গাড়ি করে যাওয়ার জন্য কেউ রাজি হয় না এবং কেউ আসতেও চায় না। তাই এ রাস্তা দিয়ে বর্ষার দিনে কোন গাড়ি চলাচল করেনা বললেই চলে। এ ব্যাপারে স্থানীয় নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান ও অনির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীগণের ভুরি-ভুরি প্রতিশ্রুতিও কাজ হচ্ছেনা। তাঁরা নির্বাচিত হওয়ার পর এ রাস্তাটির কথা ভুলে যান। তাই আমরা আজও অবহেলিত “বাতাবাড়িয়ার” জনগণ। এমতাবস্থায় দুঃখ- কষ্ট লাঘবে রাস্তাটি পাকাকরনের খুবই জরুরী প্রয়োজন বিধায় স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার লেখাতে ত্রুটি হলে মার্জন করবেন।

লেখক পরিচিতি: মোঃ শাহাদাত হোসেন, বি.এস.সি, বি.এড
১০ নং গোহট উত্তর ইউনিয়ন, বাতাবাড়িয়া, কচুয়া, চাঁদপুর।

শেয়ার করুন

Leave a Reply