কচুয়ায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে হয়রানি ও নির্যাতন করছে সন্তানরা

কচুয়া প্রতিনিধি :
নিজের দুঃখ কষ্টের কথা না ভেবে দশ মাস দশ দিন গর্ভে ধারণ করে সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখায় একজন স্বার্থহীন মা। নিজেরা না খেয়ে সন্তানকে যে খাওয়ান সে বাবা মা, নিজের কষ্ট লুকিয়ে যারা সন্তান কে ভালো রাখে তারাই মা, বাবা। পৃথিবীর সমস্থ কিছু দিয়েও মা, বাবার ঋণ শোধ করা সম্ভব না। অথচ সেই মা, বাবাকেই আমরা আজ বোঝা মনে করি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের মনপুরা গ্রামের আড়িবাড়ীর এক বৃদ্ধ বাবা মায়ের গল্প। সম্পতি ভাগবন্টন নিয়ে বৃদ্ধ বাবা শওকত আলী (৯৮) বয়সে সন্তানেরা বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানির ও নির্যাতন করেছেন বলে বাবা অভিযোগ উঠান। জীবন রক্ষার করার জন্য পেটের দায়ে এখনো কষ্ট করে যাচ্ছেন বৃদ্ধ বাবা মা। তার ৪ ছেলে ২ মেয়ে। বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাবা মায়ের খোজঁ খবর ও ভরনপোষন দিলেও ৩ ছেলে মো.আবুল কাশেম, মনির হোসেন, আ.রহমান বৃদ্ধ বাবা মায়ের খোঁজ খবর রাখেনা। বাবা মায়ে ভরনপোষন দাবী করলে বৃদ্ধ বয়সে বাবা ও মাকে বিভিন্ন হয়রানি মূলক মামলা দিয়ে যাচ্ছেন দ্বিতীয় ছেলে আবুল কাশেম। এমনকি বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম বাবা মায়ের খোজঁ খবর ও ভরনপোষন দেন কেনো তাকে বিভিন্ন হয়রানির মূলক মামলা দিয়েছেন।
বৃদ্ধ বাবা ৯৮ বছর বয়সে শওকত আলী কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, এত কষ্ট করে ছেলেদের মানুষ করেছি, তাদের এখন অনেক টাকা,অনেক সম্পত্তি আছে,আমার নিজের সম্পত্তি তাদের নামে বিশ্বাস করে লিখে দিয়েছি। অথচ আমি আমার স্ত্রী গত ২ বছর ধরে অসুস্থ ভোগছী। কিন্তু আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম ছাড়া আমার কেউ খোঁজ খবর নেয়নি। আমরা অসহায় ও মানবতার জীবন যাপন করছি।
আমার ৪ ছেলে ২ মেয়ে এক মেয়ে ১মেয়ে মৃত্যুবরন করেন। আমার সকল কিনা ও পৈত্রিক সম্পত্তি ৪ ছেলেকে সমান ভাবে বন্টন করে দেওয়ার পর থেকে আমার ৩ সন্তান মো. আবুল কাশেম, মনির হোসেন, আব্দুর রহমান আমার ভরনপোষন না দিয়ে বৃদ্ধ বয়সে আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বিভিন্ন হয়রানির মূলক মামলা দিয়ে আসছে। আমাকে ও আমার স্ত্রীকে দেখা শুনা ভরনপোষন আমার বড় ছেলে জাহাঙ্গীর আলম করেন। আমার ৩ ছেলেকে ভরনপোষনের দাবী করলে ছেলেদের স্ত্রী ও নাতি নাতিনেরা আমাকে বিভিন্ন অকথ্য ভাষায় গালিাগালাজ করেন এবং বিভিন্ন প্রভাহিত লোকজনের হুমকি ধমকি প্রর্দশন করে থাকেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply