করোনা ভ্যাকসিনের দাম কত হতে পারে

মার্কিন বায়োটেক কোম্পানি মডার্নার ট্রায়ালে থাকা করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দাম প্রতি ডোজ ৩২ ডলার থেকে ৩৭ ডলার নির্ধারণ করতে পারে। বাংলাদেশি টাকায় তিন হাজার টাকার কম বেশি হতে পারে এই দাম। ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার এবং জার্মানির বায়োটেক বিষয়ক প্রতিষ্ঠান বায়োএনটেকের মধ্যে সমঝোতার মধ্য দিয়ে তাদের টিকার প্রতি ডোজের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৫০ ডলার (বাংলাদেশি টাকায় দেড় হাজারের কিছু বেশি)। সে তুলনায় মডার্নার প্রতি ডোজ টিকার দাম অনেকটাই বেশি। ওষুধের মূল্য নিয়ে যারা কাজ করেন তারা এত বেশি দাম ধরার সমালোচনা করেছেন। যদিও মডার্না টিকা তৈরিতে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে প্রায় ১০০ কোটি ডলার পেয়েছে।
মডার্নার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্টেফানি ব্যানসেল এক কনফারেন্স কলে বলেছেন, তার কোম্পানি মূল্য নির্ধারণে ‘টিয়্যারড প্রাইসিং সিস্টেম’ ব্যবহার করবে। বিপুল পরিমাণ ভ্যাকসিন অর্ডারের জন্য দাম কমিয়ে আনা হবে। কয়েক লাখ ডোজের জন্য অল্প অর্ডার নেওয়ার কথা বিবেচনা করছে তার কোম্পানি। বিশেষ করে করোনা মহামারীর সময়ে মূল দামের চেয়ে কম দাম নির্ধারণ করবে মডার্না। যখন করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসবে, মহামারী শেষ হবে, তখন এই ভ্যাকসিন বাজারদরে ফিরে যাবে। ব্যানসেল বলেন, আমরা বাজার নিয়ে কাজ করব। এ ছাড়া বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের সরকার ও অন্যদের সঙ্গে কাজ করছে তার কোম্পানি। এর মধ্য দিয়ে সামর্থ্যরে মধ্যে এই টিকা পাওয়া নিশ্চিত করতে চাইছেন তারা। স্টেফানি ব্যানসেল বলেন, অনেক বিশেষজ্ঞের মতো আমরাও মনে করি সহসাই এই ভাইরাস বিদায় নেবে না।
ইন্দোনেশিয়ায় চীনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল : করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাক বায়োটেকের তৈরি ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শুরু হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ায়। আগামী সপ্তাহেই মানবদেহে এর পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু হবে। এ ট্রায়ালে সিনোভ্যাকের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি বায়ো ফার্মা। সূত্র : রয়টার্স।
বানডুংয়ের পাজ্জাজারান ইউনিভার্সিটির প্রধান গবেষক কুসনান্দি রুসমিল গতকাল গণমাধ্যমকে জানান, আগামী ১১ আগস্ট থেকে ১ হাজার ৬২০ জন স্বেচ্ছাসেবক ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে অংশ নেবেন। তাদের সবার বয়স ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। অর্ধেক স্বেচ্ছাসেবকদের ছয় মাস ভ্যাকসিন দেওয়া হবে, বাকিরা সাধারণ প্লাসেবো (স্যালাইন জাতীয় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াহীন ওষুধ) গ্রহণ করবেন। এরই মধ্যে ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবক ট্রায়ালের জন্য নিবন্ধন করেছেন।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান বিষয়ক মন্ত্রী এরিক থোহির জানিয়েছেন, সিনোভ্যাকের ভ্যাকসিন কার্যকর প্রমাণিত হলে বছরে ২৫ কোটি ডোজ তৈরি করতে পারবে বায়ো ফার্মা। প্রসঙ্গত, পূর্ব এশিয়ার মধ্যে করোনায় সর্বাধিক মানুষ মারা গেছেন ইন্দোনেশিয়ায়। দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত ১ লাখ ১৬ হাজার ৮৭১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৫ হাজার ৪৩২ জন।
-ডেস্ক নিউজ

শেয়ার করুন

Leave a Reply