করোনায় ভালো নেই চাঁদপুরের সেলাই কারিগররা

আশিক বিন রহিম :
পবিত্র মাহের রমজানের শেষ সময় চলছে। আর ৩দিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। এই সময়টাকে সবচেয়ে কর্মব্যস্ত থাকার কথা ছিল দর্জিপড়ার সেলাই শ্রমিকদের। অথচ বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব কেরে নিয়েছে সকল আয়োজন। অন্যান্য পেশায় মতোই থেমে থেমে চলছে দর্জিদের সেলাই মিশিনও। যার ফলে ¯েøা গতীতে চলা সেলাই মেশিনের মতো থমকে গেছে এই পেশার মালিক-কর্মচারিদের জীবনযাত্রা। এতে করে চাঁদপুরে কয়েক হাজার দর্জি ব্যাবসায়ী ও শ্রমিকরা এখন মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।


জানা যায়, বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চাঁদপুরে চলছে প্রায় ২ মাসের লগডাউন। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট-বিপনীবিতান। এতে বিপাকে পড়েছেন স্বল্প আয়ের মানুষ। যার বড় রকমের প্রভাব পড়েছে কাপড় সেলাইয়ের কারিগরদের উপর।
চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার, পুরাণবাজারসহ কয়েকটি স্থানে টেইলার্সের দোকানে কাজ করেন এমন কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, কাজ না থাকায় অভাব অনাটনে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সোলেমান নামের এক সেলাই শ্রমিক জানান, ‘আমি একটি টেইলার্সে দর্জির কাজ করি। স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে পুরাণবাজারে বাসা ভাড়া থাকি। গত ১ মাস দোকান বন্ধ ছিলো। ১০ রজমানের পর দোকান খুললেও কাজ খুব একটা নেই। এই পরিস্থিতিতে খাওয়াপড়া এবং বাড়ি ভাড়া নিয়ে খুব টেনশনে আছি। ঘরেও জমানো টাকা নাই।’
আবুল হোসেন নামে একজন জানান, ‘করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এভাবে কতদিন চলে আল্লাহ ভালো জানেন। আগে রোজায় দিন-রাত কাজ করে কিছু টাকা জমাতাম। কিন্তু এখন পুরো বেকার বসে আছি। খোদার কাছে প্রার্থনা করি, এ দুর্যোগ যেন দ্রæত কেট যায়।’
শহরের পুরাণবাজার লোহারপোল এলাকার মুনসান ট্রেইলাসের পরিচালক রাজন বেপারী বলেন, গত বছর ১ মাসে ৫শ’ টির মতো ড্রেস সেলাই করেছি। আর এবার ১০টি ড্রেসও অর্ডার পাইনি। গতবার আমার দোকানে ৮/১০ জন কাজ করেছে, এবার ৩জন কাজ করছে।
তিনি আরো জানান, আমার কর্মজীবনের ইতিহাসে এমন দুর্দিন দেখিনাই। এখন দোকান ভাড়া, স্টাফের বেতন কিভাবে দিবো। কিভাবে সংসারের চাহিদা মেটাবো ভেবে পাই না।

শেয়ার করুন

Leave a Reply