চাঁদপুরের কয়েকটি গ্রামে আজ ঈদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের প্রায় অর্ধশত গ্রামে আজ ৯ জুলাই শনিবার উদযাপিত হবে ঈদুল আযহা। সৌদী আরবের শুক্রবার হজ সম্পন্ন হওয়ায় হাজীগঞ্জ উপজেলার সাদ্রা দরবার শরীফের অনুসারীরা ঈদ উদযাপন করবে। এই দরবারের বর্তমান পীর পীর শাইখ মো. আরিফ চৌধুরী জানান, এই দরবারের প্রতিষ্ঠাতা পীর মাওলানা ইসহাক প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে ধর্মীয় উৎসব পালনের রেওয়াজ চালু করেন।
শনিবার ঈদ উদযাপিত হওয়া চাঁদপুরের গ্রামগুলোর মধ্যে রয়েছে হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বরকুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাশারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ কচুয়া ও শাহরাস্তির বেশ কয়েকটি গ্রাম।
জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি।
ধনী ও প্রভাবশালী পরিবারের সন্তান মাওলানা ইসহাক ওই বছরই নিজ গ্রামে ফিরে একই উদ্যোগ নিয়ে গণসংযোগ শুরু করেন। গ্রামের অসহায় ও দুঃস্থদের আর্থিক সাহায্য দিয়ে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা চালু করেন। পরে তিনি দরবার শরীফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।
সাদ্রা দরবার শরীফের বর্তমান পীর শাইখ মো. আরিফ চৌধুরী বলেন, সৌদিতে শুক্রবার হজ হয়ে গেছে। তাই শনিবার আমরা ঈদ উদযাপন করবো। সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই আমাদের যাবতীয় প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। সকাল ৯টায় সাদ্রা ঈদগা মাঠে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরপর আমরা কোরবানি করবো। এছাড়া আমাদের এখানের অন্যান্য স্থানেও ঈদের জামাত হবে।
তিনি বলেন, করোনা সংক্রমণরোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সবাইকে মসজিদে মাস্ক পরে আসতে বলা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জামাত অনুষ্ঠিত হবে। সকলকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহŸান জানাই।

শেয়ার করুন

Leave a Reply