চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত

নিজস্ব প্রতিবেদক :

বিশ্বে প্রথম চাঁদ দেখার ভিত্তিতে চাঁদপুরের প্রায় ৪০টি গ্রামে ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। ঈদকে ঘিরে এসব গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। বৃহস্পতিবার রাতে সৌদি আরবে চাঁদ দেখা যাওয়ায় ঈদ উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে রাতে সাদ্রা এলাকায় ঈদ জামাতের জন্য মাইকিং করা হয়। আজ শুক্রবার সকাল ৯টায় সাদ্রা দরবার শরিফ মাঠে ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন দরবারের পীর মুফতি জাকারিয়া চৌধুরী আল মাদানী।

ঈদ উদযাপন সম্পর্কে তিনি বলেন, পৃথিবীর যেকোন স্থানে প্রথম চন্দ্র দর্শনের ভিত্তিতে আমরা ঈদ উদযাপন করে থাকি। সবাইকে এটি মেনে নিয়ে একসাথে ঈদ উদযাপনের আহ্বান জানান তিনি।

এরপর সকাল দশটায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সাদ্রা ঈদগা ময়দানে। এখানে ইমামতি করেন পীর মো. আরিফ চৌধুরি।

সাদ্রা দরবার শরিফের অনুসারীরা প্রায় ৯৪ বছর ধরে এভাবে রোজা, দু’টি ঈদ উদযাপন করছেন।
জানা গেছে, ১৯২৮ সালে হাজীগঞ্জ রামচন্দ্রপুর মাদ্রাসার তৎকালীন অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক আরব দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উদযাপনের উদ্যোগ নেন। কিন্তু স্থানীয়দের অসহযোগিতার মুখে তা ভেস্তে যায়। সরকারি নিয়মের বাইরে গিয়ে একদিন আগে ঈদ পালনের উদ্যোগ নেওয়ায় অধ্যক্ষের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় তাকে। ওই বছরই নিজ গ্রাম সাদ্রায় ফিরে আসেন তিনি। চালু করেন সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদসহ সব ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন প্রথা চালু। পরে তিনি দরবার শরিফ ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন।

সাদ্রা ছাড়াও একদিন আগে ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলো হলো- হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল, শ্রীপুর, মনিহার, বড়কুল, অলীপুর, বেলচোঁ, রাজারগাঁও, জাকনি, কালচোঁ, মেনাপুর, ফরিদগঞ্জ উপজেলার শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, পাইকপাড়া, বিঘা, উটতলী, বালিথুবা, শোল্লা, রূপসা, বাসারা, গোয়ালভাওর, কড়ইতলী, নয়ারহাট, মতলবের মহনপুর, এখলাসপুর, দশানী, নায়েরগাঁও, বেলতলীসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম।
এ ছাড়া চাঁদপুরের পাশের নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইছহাক খানের অনুসারীরা একই দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

শেয়ার করুন