চাঁদপুরে এখনো বন্ধ হয়নি নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদন
আশিক বিন রহিম :
পবিত্র ঈদকে সামনে রেখে চাঁদপুরে বিভিন্ন বেকারী ও সেমাই কারখানাগুলোতে তৈরি হচ্ছে সেমাই। সেমাই তৈরি করলেও কারখানাহুলো মানছে না কোন প্রকার স্বাস্থ্যবিধি, নোংরা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সেমাই। কারিগররা গ্লাপস বিহীন হাত দিয়েই কাজ করছে, মুখে নেই মাস্ক, শরীরর থেকে ঝড়ছে অনবরত ঘাম। মেঝেগুলো নোংরা ও কর্দমাক্ত তাতে দাড়িয়ে কারিগররা কাজ করছে। তাদের শরীরর থেকে অনবরত ঘাম ঝড়ছে।
১৯ জুলাই রোববার দুপুরে শহরের পুরাণবাজারে বেশশ ক’টি সেমাই কারখনা পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী। নিতাইগঞ্জ এলাকার মিম ফুড ও, আলম বেকারী, বেগম ফুড ফেক্টরি পরিবেশ ও কারিগরদের কাজের পরিবেশ দেখে হতবাক হন তিনি।
এসময় তিনি বলেন, এধরনের নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে সেমাই তা আবার অমরা কিনে খাচ্ছি। মেঝেগুলো নোংরা ও কর্দমাক্ত তাতে দাড়িয়ে কারিগররা কাজ করছে। তাদের শরীরর থেকে অনবরত ঘাম ঝড়ছে। আমরা আজকে তাদের সর্তক কে দিয়ে যাচ্ছি। দু’একদিসের মধ্যে ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে এদের জরিমানাপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সেমাই কারখানা পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্চ মোঃ নাসিম উদ্দিন ও ওসি তদন্ত হারুন অর রশিদ।
প্রসঙ্গত : নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদনের অপরাধে চাঁদপুরে প্রায় সকল সেমাই কারখানার মালিককে একাধিকবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে। প্রতিবারই তারা সঠিক নিয়মে সেমাই উৎপাদন করার প্রতিশ্রুতি দেন। অথচ বার বার প্রতিশ্রুতি এবং অর্থদণ্ড বন্ধ হয়নি নোংরা-অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদন। তাই সচেতন মহলের দাবী কেবল অর্থদণ্ডই রয়, অভিযুক্ত বেকারি মালিকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা হলেই হয়তো তাদের এহেন কার্যক্রম বন্ধ হবে।