চাঁদপুরে করোনা ও উপসর্গ নিয়ে ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের মৃত্যু

আশিক বিন রহীম :চাঁদপুরে ভয়াব

হতার ইঙ্গিত দিচ্ছে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি। জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২৪ জুলাই শনিবার মাত্র ৮ ঘন্টার ব্যবধানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলশন ওয়ার্ডে ৬ রোগীর মৃত্যু হয়। তাদের মধ্যে ২ জন নারী ও ৪ জন পুরুষ। করোনা উপসর্গ নিয়ে বাকি ৩ জনের মৃত্যু হয় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

গত ২৩ জুলাই সন্ধ্যা থেকে ২৪ জুলাই শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এসব মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। চাঁদপুর স্বাস্থ্য বিভাগ ও কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ এসব তথ্য নিশ্চিত করে।

চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যাক্তিরা হলেন-, সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের রামদাসদী গ্রামের মেহেদী হাসান (৩৬), মৈশদী ইউনিয়নের মায়মুনা (৬৫), ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর গোবিন্দপুর ধানুয়া গ্রামের সাজেদা বেগম (৫৫), শাহরাস্তি উপজেলার কালিয়াপাড়ার শুয়াপাড়া গ্রামের সাজেদা বেগম (৭০) ও মতলব দক্ষিণ উপজেলার খাদেরগাঁও নাগদা গ্রামের ফজলুল হক (৭০) এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলার পূর্ব এখলাশপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম।

এছাড়া কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যবরণ করেন উপজেলার গোহট দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন (৭৫) ও তার স্ত্রী ফয়জুন্নেছা (৬০)। মাত্র আড়াই ঘন্টার ব্যবধানে এ দম্পতির মৃত্যু হয়। একই উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের পরানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী সুমন পাটওয়ারী (৩৫) করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যু বরণ করেন।

চাঁদপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্লাহ জানিয়েছেন, চাঁদপুরে করোনা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিতে যাচ্ছে। এখন থেকেই সচেতন না হলে চরম মাশুল গুনতে হবে জেলাবাসীকে। চাঁদপুরে আক্রান্ত নমুনা পরীক্ষার হারে ৫০ ভাগেরও বেশি।

এদিকে এই প্রথম চাঁদপুরে ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনায় জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সরকার ঘোষিত কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সরাসরি মাঠে কাজ করছে জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কঠোর বিধিনিষেধ শুরুর দিন শুক্রবার থেকেই সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার ব্যাটেলিয়নের বেশ কয়েকটি দল চাঁদপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।

সড়কগুলোতে শুধুমাত্র রোগী এবং জরুরি পণ্যবাহী যান ছাড়া অন্য কোনো যানবাহন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বন্ধ রয়েছে জরুরি সেবা ছাড়া অন্যান্য সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। নদীপথে যাত্রীবাহী লঞ্চ, সড়কপথে ছোটবড় যাত্রীবাহী যান এবং রেলপথে ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply