চিতা খাল খননে মতলব-বাবুরহাট প্রধান সড়কটি হুমকি মুখে

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মতলব-বাবুরহাট সড়কের পাশের চিতা খাল খননে মতলবের ঢোকার প্রধান সড়কটি এখন হুমকির মুখে রয়েছে। সড়কের পৌরসভা অঞ্চল এলাকার কয়েকশ’ মিটারের সড়ক অঞ্চলের মাটি ও পাকা অংশ খালের মধ্যে গড়িয়ে পড়ছে। এছাড়া মতলব আইসিডিডিআরবি হাসপাতাল, মতলব রয়মনেননেছা মহিলা কলেজ, জেবি পাইলট হাই স্কুলের ছাত্রাবাসসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খালের উপর ধ্বসে পড়ার আশংকা রয়েছে। খালটি পুনঃ খনন কাজ বন্ধ করে তা রক্ষায় ইতিমধ্যে মতলব পৌরসভা থেকে পৌর মেয়র পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীকে চিঠি প্রেরণ করেছেন এবং এর অনুলিপি জেলা প্রশাসকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।


জানা গেছে, উক্ত খালটির ১১শ’ মিটার পুনঃ খননের প্রায় ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন করেছে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। কিন্তু হঠাৎ করে প্রায় ৭শ’ মিটার কাজ সম্পাদনের পরেই পাশের গুরুত্বপূর্ণূ চাঁদপুর-মতলব রাস্তাটির অনেক জায়গায় মাটি ও কার্পেটিংয়ের অংশ খালের মধ্যে পড়ে যাচ্ছে। এছাড়া রাস্তাটিরও দুই কোটি টাকা ব্যয়ে পুনঃ নির্মাণ কাজ নতুন করে করা হচ্ছিল। এ অবস্থা দেখে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্বাহী প্রকৌশলীকে বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবগত করে এবং কাজটি এ মুহূর্তে করা সম্ভব না এ মর্মে চিঠি দিলে পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলীসহ ঊধ্বর্তন কর্মককর্তারা এলাকা পরিদর্শন করেন। তারাও এ ধরনের পরিস্থিতিতে আপাতত না করার জন্য মতামত ব্যক্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে গতকাল মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদারের সাথে কথা হলে তিনিও এই সড়কটিসহ নানা স্থাপনার সমস্যার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, কাজটি এখন করতে গেলে ওইসব স্থাপনা আরো হুমকির মধ্যে পড়বে। তারপর আমরা দেখব কি করণীয় আছে। তবে কোন কিছু ক্ষতি করে কাজ করা যায় না। খালও প্রয়োজন ও সড়ক রক্ষা করাও প্রয়োজন।
এদিকে স্থানীয় প্রশাসন খালটির বাকি অংশ পুনঃ খননে জোর তাগিদ দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন এ মুহূর্তে খালটির বাকি অংশ খনন হবে, তবে এটিকে খনন বলা যাবে না। এছাড়া চাঁদপুর-মতলব থেকে একমাত্র সড়কটি এবং আইসিডিডিআরবিসহ নানা স্থাপনা খালের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে। এ অবস্থায় পৌরবাসীও কাজটি বন্ধ রাখার জন্য পৌর কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদন করছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply