ছেঙ্গারচর জেনারেল হাসপাতাল সীলগালা, মালিক সুমনাকে এক বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মতলব উত্তর উপজেলায় ‘ছেঙ্গারচর জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্স’ নামে একটি বেসরকারি ক্লিনিক সিলগালা করে দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ওই ক্লিনিকের মালিককে এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (০৮ জুন) দুপুরে উপজেলার প্রধান ব্যবসা কেন্দ্র ছেঙ্গারচর বাজারে এই অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজা হাবিব শাপলা। তার সঙ্গে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুসরাত জাহান মিথেন। এছাড়া থানা পুলিশের একটি দলও তাদের সঙ্গে ছিল।
অভিযান সম্পর্কে ডা. নুসরাত জাহান মিথেন বলেন, বিভিন্ন মাধ্যমে অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই বেসরকারি ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। এসময় ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাছে লাইসেন্স দেখাতে পারেনি। এছাড়া ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে রোগীর চিকিৎসা ও সিজারসহ নানা ধরনের অপারেশন করানো হতো। ক্লিনিকে নেই কোনো মানসম্মত চিকিৎসা সরঞ্জাম। চিকিৎসার নামে রোগী ও তাদের স্বজনদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।
এদিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, লাইসেন্সবিহীন ভুয়া চিকিৎসক দিয়ে ক্লিনিক পরিচালনা করার অপরাধে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ অনুযায়ী মালিক সুমনা আক্তারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ক্লিনিকটি অনির্দিষ্টকালের জন্য সিলগালা করে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গাজী শরিফুল হাসান বলেন, এই উপজেলায় চিকিৎসার নামে প্রতারণা বা যেকোনো অনিয়ম ছাড় দেওয়া হবে না। এই জন্য প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তৎপর রয়েছে।
এদিকে ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ে স্থানীয়রা আনন্দ প্রকাশ করে বলেন, সবসময়ই এই হাসপাতালে ভুয়া ডাক্তার দিয়ে সিজার করানো হয়। কোন কোন সময় মালিক সুমনা নিজেও ডাক্তার সেজে অপারেশন করে ফেলেন। এছাড়াও চিকিৎসা প্রদান করার মত তাদের কোন মেশিনপত্র নেই। মালিক সুমনার দাপটে সেবা নিতে আসা রোগীরা অসহায় হয়ে পড়েন। প্রশাসন কর্তৃক হাসপাতাল সিলাগানা করে দেওয়ায় প্রশাসনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান স্থানীয় লোকজন। এছাড়াও বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালটির বিরুদ্ধে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply