দুর্গোৎসবে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে : পুলিশ সুপার

আসন্ন দুর্গপূজা উদযাপনকল্পে প্রস্তুতিমূলক সভা
: নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএিম (বার) বলেছেন, চাঁদপুর জেলার মানুষ সাম্য ও সম্প্রীতির পরিচয় দিয়ে হিন্দু-মুসলমান এক সাথে বসবাস করছে। এ জেলা মানুষ ধর্মভীরু তবে কেউই ধর্মান্ধ নয়। আমরা প্রত্যাশা করছি সম্প্রীতির এ ধারাবাহিকতায় আমরা এবারও আনন্দঘন পরিবেশে আসন্ন দূর্গা উৎসব শন্তিপূর্ণভাবে সম্মিলিতভাবে উদ্যাপন করতে সক্ষম হবো। শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্যাপনে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে
তিনি আজ ২৭ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১১টায় চাঁদপুর পুলিশ লাইনের ড্রিলসেডে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উদ্যাপনকল্পে প্রস্তুতিমূলকসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। চাঁদপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশসুপার সুদীপ্ত রায়ের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন এনএসআইয়ের উপ-পরিচালক শাহ আরমান, চাঁদপুর জেলা পুজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোটাঃ তমাল ঘোষ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক বিমল চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল সাহা, চাঁদপুর সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহজালাল কামাল, কচুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি কিশোর কুমার ঘোষ, মতলব উত্তর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রোটাঃ শ্যামল চন্দ্র দাস, হাইমচর উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বিবেক লাল মজুমদার, কচুয়া উপজেলার পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি ফণি ভূষণ তাফু, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি হিতেষ শর্মা, হাজীগঞ্জ উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি রুহি দাস বণিকসহ জেলার প্রত্যেকটি উপজেলার সকল পূজা উদ্যাপন পরিষদের কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার মতলব সার্কেল ইয়াসির আরাফাত, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশা, মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিউদ্দিন মিয়া, শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক চন্দন সাহা, ফরিদগঞ্জ উপজেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লিটন দাসসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ।
পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ আরো বলেন, জেলার ৮টি উপজেলায় এ বছর ২১২টি মন্দিরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। এবারের পূজা পালন কেবল মাত্রই ধর্মীয় রীতি অনুসরণ করতে হবে। সেই সাথে জনস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে সরকারের নির্দেশনা মানতে হবে। প্রতিটি পুজা মন্দিরে সিসি টিভি স্থাপন ব্যবস্থা করতে হবে, মন্দির কর্তৃপক্ষ থেকে সেচ্ছাসেবক দল গঠন করে নিরাপত্তা দায়িত্ব গ্রহন করতে হবে। স্বেচ্ছাসেবকদের কোটি, আর্মভ্যান্ড অথবা টুপির ব্যবস্থা করতে হবে। মন্দিরে প্রবেশকালে স্বাস্থ্য বিধি মেনে মার্ক হ্যান্ড স্যানেটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে। মন্দির এলাকায় বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা রাখতে হবে, পুলিশ, জরুরী সেবা, ফায়ার সার্ভিস সমূহের নাম্বার গুলো প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শন করে রাখতে হবে। পুজা মন্ডপ গুলো খোলা মেলা রাখতে হবে, মন্ডপের ভিতরে ভির করা যাবেনা, প্রবেশ ও বাহিরের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখতে হবে, প্রবেশ গেইটে নো-মাস্ক, নো-এন্ট্রি, ব্যানার সহ প্রবেশ মুখে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে, মন্দিরে কোন প্রকার সম্মিলিত আড়তি দেওয়া যাবেনা, কোন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাচ গান করা যাবেনা ও শোভাযাত্রা করা যাবেনা।

শেয়ার করুন

Leave a Reply