প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে ‌’গ্রাম হবে শহর’ স্বপ্নপূরণে কাজ করতে চান এম এ হাসেম হাসু

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ৭নং পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়ন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেম।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতিতে ‘গ্রাম হবে শহর’ স্বপ্নপূরণে কাজ করতে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দলের দুর্দিনের এই নেতা এম এ হাসেম।
তিনি বলেন, যতোদিন বেঁচি থাকবো মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত কিংবদন্তী, মহান মুক্তিযুদ্ধের ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির দিকে নির্দেশনায় ৭নং বড়কুল ইউনিয়নের উন্নয়ণে নিজেকে নিয়োজিত রাখবো।
তিনি বলেন মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে পরিচালিত ‘আশ্রয়ণ প্রকল্পের’ দ্বিতীয় ধাপে ৫৩ হাজার ৩৪০টি পরিবারকে বিনা মূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা ঘর উপহার দেওয়া হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে প্রথম পর্যায়ে ৬৯ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে ঘর প্রদান করা হয়।
তিনি বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের মাঝে তুলে ধরছেন।
এছাড়া শেখ হাসিনার স্বপ্ন গ্রামকে শহরে পরিণত করতে আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে একজন নিরলস প্রার্থী হিসাবে সকলের সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করছেন।
তিনি মানবিকতার দৃষ্টিকে প্রসারিত করে, সবার হাতে হাত রেখে ঐক্যবদ্ধ হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোঁয়ায় ৭নং পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন গঠন করার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চান।
নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এম এ হাসেম জানান, “মাদক আর সামাজিক অবক্ষয় রোধ সহ সকল, বৈষম্য, দুর্নীতি, নির্মূল করে অবহেলিত অসহায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে কৃষক, শ্রমজীবী পুরুষ ও নারীর সমাজের অধিকার আদায়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি বদ্ধপরিকর।
এছাড়া সামাজিক ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা সহ গ্রামকে শহরে পরিণত করে জনগণের প্রকৃত সেবক হতে বাংলাদেশের মমতাময়ী মা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করছি।
৭নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নবাসির পাশে ছিলাম। তাদের সেবা করার চেষ্টা করেছি। এখনো তাদের সেবা করে যাচ্ছি। ইউনিয়নের সাধারণ মানুষদের দীর্ঘ দিন ধরে সাহায্য সহযোগীতা করে আসছেন। করোনা কালে অনেক পরিবারকে সহযোগীতা করেছিলেন। আমি এলাকার জনগণের সুখে দুঃখের সাথী হিসেবে দীর্ঘ দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। তাই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমি নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী।
কখনো পদপদবী বা নেতৃত্বের লোভ করিনি। মানুষকে ভালোবেসেছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। এটাই যথেষ্ট।
পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে এলাকার সহস্রাধীক ব্যাক্তিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্ত এমপির অনুদান ছাড়াও ব্যাক্তিগত পক্ষ থেকে ঈদ উপহার প্রদান করেছি।
এম এ হাসেম বলেন, দেশ ও জনগণের সেবা করতে হলে কাউকে অবমুল্যায়ণ করা যাবেনা। সবাইকে সাথে নিয়েই এলাকার উন্নয়ণ করতে হবে।
এম এ হাসেম বিগত ১৯৯৬, ২০০১, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ ইউনিয়নে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের পক্ষে তথা নৌকা প্রতীকে সরাসরি নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেন। করোনাকালীন এলাকার অসহায় দুঃস্থদের বিষয়ে মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির নির্দেশে উক্ত ইউনিয়নের দুগ্ধপোষ্য শিশুদের জন্য শিশু খাদ্য, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজারসহ কয়েক হাজার এলাকাবাসীকে খাদ্য ও অর্থ সহায়তা প্রদান করেছি। যা এখনো অব্যাহত আছে।
ইউনিয়নের প্রতিটি ওয়ার্ডে চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) আসনের সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপির নির্দেশে শীতার্ত ওগরীব অসহাদের মাঝে শীত বস্ত্র বিতরণ করেন নিজের উদ্যোগে।
ইউনিয়নের মেধাবী, দরিদ্র ও অসহায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করে আসছেন ।
এক সময়ের তুখোড় হা-ডু-ডু খেলোয়াড় সাবেক এ ছাত্রনেতা, ৭ নং বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হাসেম বলেন, আল্লাহপাক আমাকে ৭ নং পশ্চিম বড়কুল ইউনিয়নবাসির দোয়ায় বাঁচিয়ে রেখেছে ২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং গোপালগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশে আমাদের প্রাণপ্রিয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার উপর যে গ্রেনেড হামলা হয়, আওয়ামী লীগের সে সমাবেশেও আমি উপস্থিত ছিলাম। সে সময় অন্যদের সাথে আমিও সামান্য আহত হয়েছি।
ব্যবসার পাশাপাশি ঢাকার রাজপথ থেকে ১/১১ এ শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি।
স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করি। ১৯৮৩ সালে প্রয়াত ছাত্র নেতা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেকের হাত ধরে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু। এর পর হাজীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি গাজী মাইনুউদ্দিন এর কমিটির ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।
তারপর বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ঘোষিত ১৪ দল তথা মহাজোটেরে কর্মসূচি অনুযায়ী বিএনপি জামাত জোট সরকারের নৈরাজ্য বিরোধী আন্দোলনে মাহবুব-উল আলম লিপন, গাজী মাইনুউদ্দিন, চঞ্চল, বাবুল, জহিরুল ইসলাম মামুন, মিঠুন ভদ্র, মান্নান, খসরুসহ সরকার বিরোধী মিছিল মিটিং রাজপথে ছিলাম।বিএনপির বিভিন্ন হামলা মামলার স্বীকার হয়েও আওয়ামী লীগের দুর্দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছি।
বহু দুঃখ-কষ্ট, মামলা-হামলা নির্যাতন তবুও এ দল থেকে পিঁছু হটেনি।
এম এ হাসেম বলেন, ২০০১ সালে আমাদের ইউনিয়নে জোট সরকার অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকে নির্যাতন করেছে। অনেকের বাড়ী-ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।
আমার চাচা এখানে শুধু মাত্র আওয়ামী লীগ করার কারণে বামনীছোয়া ৩নং ওয়ার্ডের নৌকার মাঝি ছিদ্দিক নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে। সে সময় নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এলাকার আওয়ামী লীগ নেতাদের বাঁচানোর জন্য তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি।
আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগ করার কারণে বিএনপি জামাতের জোট সরকারের সন্ত্রাসীরা আমার বড় ভাই আঃ রব ডাক্তার নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে।
মামলা-হামলায় জর্জরিত নেতা-কর্মীদের চিকিৎসা, মামলার খরচ চালাতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ২০০১ সালে জোট সরকারের আমলে হাজীগঞ্জ বাজারে মিছিল-মিটিং, হরতালকে সফল করার পেছনে বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন থেকে আমার অনেক অবদান ছিল। উপজেলা যুবলীগের ক্রীড়া সম্পাদক থাকার কারণে সকল মিছিলে উপস্থিত থাকাটা ছিলো বাধ্যতামূলক।

এম এ হাসেম বলেন, আমার বাবা মৃত আয়ুব আলী বেপারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। আমার পরিবারের সবাই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, বিদেশীরা এক সময় বাংলাদেশকে তলাবিহন ঝুড়ি বলতো। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়ণের মহাসড়কে। দেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ একসময় অন্য দেশের কাছে ঋণের জন্য হাত পাততে হতে এখন বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কার মতো রাষ্ট্রকে ঋণ দিয়েছি। এসবই সম্ভব হয়েছে সঠিক ও যোগ্য নেতৃত্বের কারণে।
তিনি বলেন পদ্মা সেতুতে ষড়যন্ত্রকারীদের জন্য ঋণ সুবিধা প্রদান করেনি। কিন্তুু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোবলের কারণে আজ পদ্মা সেতুর কাজ সমাপ্ত হওয়ার পথে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন যে, বাঙ্গালি জাতিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবেনা তার কথাটাই বাস্তব হলো। আমরা বিজয় হয়েছি ইনশাআল্লাহ।
এ ব্যবসায়ী বলেন, পদ্মা সেতুর কাজ সমাপ্ত হলে বাংলাদেশের যোগা যোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। অর্থনীতির চাকা আরো সচল হবে।
তিনি হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ণ নিয় বলেন, আমাদের প্রাণ প্রিয় সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ণের চাকা সচল হয়। তবে ২০০১ সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর হাওয়া ভবনের দুর্নীতির কারণে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ণের চাকা বন্ধ হয়ে যায়। তবে ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তিতে আবারো উন্নয়ণের সু-বাতাস বইতে থাকে।
তিনি বলেন, ডাকাতিয়া নদীর উপর আমাদের সংসদ সদস্য, হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তির উন্নয়ণের রুপকার মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম ৯টি ব্রীজ করেছেন। এটি একটি রেকর্ড।
তিনি বলেন, হাজীগঞ্জ-শাহরস্তিতে গত ১৩ বছরে ৫ শতাধিক স্কুল, কলেজ ও মাদরাসা ভবন পাকা করা হয়েছে। ৫’শ কিলোমিটার রাস্তা পাকা করা হয়েছে। সাড়ে ৫’শ ব্রীজ কালভার্ট করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ৫ সহস্রাধীক ব্যক্তিকে চিকিৎসার জন্য আর্থিক অনুদান করেছেন আমাদের সংসদ সদস্য মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপি বলেন।
এম এ হাসেম বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভানেত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ১নং সেক্টর কমান্ডার, সাবেক সফল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম এমপির দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ্য কামনা করে।
এক প্রশ্নের জবাবে এ ব্যবসায়ী বলেন, আমি ৭নং বড়কুল ইউনিয়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। যদি, দল মনে করে আমাকে মনোয়ন দিলে আমি বিজয় হতে পারবো, আমাকে দিয়ে এলাকাবাসির উপকার হবে তাহলে অবশ্যই আমি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হিসেবে নৌকা মার্কার মনোনয়ন চাইবো।
এম এ হাসেম একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীক জীবনে তিনি রেড রোজ কেইন ফার্নিচার বনানী চেয়ারম্যান বাড়ী ও শাহজালাল ইন্ডরিয়র মহাখালী আম তলা ঢাকা এর চেয়ারম্যান। রাজনীতিতেও পিছিয়ে নেই, সদা হাস্যজ্জোল, সর্বমহলে গ্রহণযোগ্য এ মানুষটি বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। উপজেলা উন্নয়ণ সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, ইউনিয়ন উন্নয়ণ সমন্বয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক, রামচন্দ্রপুর কাসেমিয়া ছিদ্দিকিয়া ফাযিল মাদরাসার বিদ্যোৎসাহী সদস্য।

শেয়ার করুন

Leave a Reply