ফরিদগঞ্জে মাকে কুপিয়ে হত্যা করলো ছেলে

জাকির হোসেন পাটওয়ারী :
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ সদরে ছেলে মা’কে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। পুলিশ খুনি ছেলেকে আটক করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটায় উপজেলার পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী দেওয়ান বাড়ীতে।
সরেজমিনে গিয়ে এবং পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মমিন হোসেন দেওয়ান(৪০) পিতা মৃত-আব্দুল হাশেম মেওয়ান নিজ মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনার পরপরই সে পালিয়ে গেলেও ানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’র পোষ্ট করা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হত্যাকারীর ছবি দেখে স্থানীয় জনতা ঘাতককে চিনতে পেরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ পৌর এলাকার পূর্ব মিরপুর এলাকােে ক আসামীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশ নিহত মনোয়ারা বেগম(৬৫) এর লাশ উদ্ধার করেছে। এ ব্যপারে মনোয়ারার ভাই রুহুল আমিন বাদী হয়ে ঘাতক ভাগ্নের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।
জানা গেছে, মমিন হোসন দেওয়ান ২০০৩ সালের ১১ ফেব্রয়ারী একই বাড়ীর সম্পর্কে চাচাতো বোন রুপবান কেও কুপিয়ে হত্যা করে। রুপবানকে হত্যার পর পালিয়ে সৌদী আরব চলে যায়, ২০১১ সারে দেমে ফিরে এর পুলিশ তাকে গ্রেফকার কের জেল হাজতে প্রেরন করে। জামিনে বের হয়ে বাড়ীর ও এলাকবাসীর সাথে ঔদ্যত্য আচরন করলে এলাকাবাসীর অভিযোগে সে এ পর্যন্ত জেলেই ছিল। রুপবানের পরিবারের সাতে সমঝোতার পর গত তিন মাস আগে মমিনের মা তাকে আবারও জামিনে নিয়ে আসেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলের তাতেই খুন হতে হলো মা মনোয়ারাকে। মমিনের বড়ভাই আলাদা ঘরে াকলে মমিন মায়ের সাে একই ঘরে আলাদা রুমে থাকতো।
স্থানীয়রা জানায়, মমিন বিবাহীত এক সন্তানের জনক। তার মানষিক সমস্যা রয়েছে, প্রয়শই লোকজনকে হত্যা করার হুমকি দিত লোকজনের সাথে খারাপ আচরন করতো। তার আচরনের কারনে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাপের বাড়ীতে অবস্থান করছে।
ঘাতক মমিনের ভাগিনা আশিক জানায়, আমার নানী মনোয়ারা বেগম ও আমার মা’কে মামা মমিন প্রায়ই মেরে ফেলার হুমকি দিতো।
এব্যাপারে ফরিদগঞ্জ ানার অফিসার ইনচার্জ মো: শহিদ হোসেন জানান, মাকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করি। অন্যদিকে আমরা তাকে ধরতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি পোস্ট করলে তাকে মিরপুর এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হই। ঘাতক মমিন ইতিপুর্বে একটি হত্যা মামলার আসামী। তিনমাস পুর্বে সে জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে আসে। সেই থেে ক সে মা ও তার ভাগ্নিকে হত্যার হুমকি দিতো। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আসামী মমিনের কাছে খুনের বিষয়ে জানতে চাইলে সে পুলিশের সামনেই বলে, আমার মা এবং পরিবারের সদস্যদের প্রশাসন অনেক আগেই জেল হাজতে এবং বাড়ীতে মেরে ফেলেছে। মৃত মহিলা আমার মা না। উনাকে প্রশাসন সার্জারী আমার বাড়ীতে রেখেছে। সে বলে এই মহিলাকে আমি ১০টা কোপ দিয়েছি। আর এর আগে রুপবানকে তিনটা কোপ দিয়েছিলাম। তার অধিকাংশ কথাই অসংলগ্ন।

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply