মতলব উত্তরে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপে আসামী গ্রেফতার, দোষ স্বীকার

 

কামরুজ্জামান হারুন :

মতলব উত্তর উপজেলার পশ্চিম সুজাতপুর গ্রামে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ মিলি আক্তারের (২০) ওপর এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় মূল আসামি মো. জাহিদ (২০)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার(১৬ মার্চ )দিবাগত রাত দুইটার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকার একটি ভাঙারির দোকান থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার জাহিদ মতলব উত্তর উপজেলার মমরুজকান্দি গ্রামের মো. শাহাজাহান মিয়ার ছেলে। তিনি এলাকায় বখাটে হিসেবে পরিচিত। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি সুজাতপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম (২৫) ওরফে মানিকের ঘনিষ্ঠজন তিনি। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মতলব উত্তর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান-১ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল শনিবার দিবাগত রাত দুইটায় নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানা এলাকায় যায়। বন্দর থানা পুলিশের সহায়তায় বন্দর থানা এলাকার একটি ভাঙারি দোকানে অভিযান চালিয়ে জাহিদকে আটক করে মতলব উত্তর থানায় নিয়ে আসে। পরে এ ঘটনায় করা মামলায় জাহিদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।জাহিদকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান,রোববার (১৭ মার্চ)বিকেলে তাঁকে চাঁদপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে হাজির করা হলে জাহিদ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। এ ঘটনায় জাহিদসহ মোট দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মামলার প্রধান আসামি শফিকুল ইসলাম (মানিক)কে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুদিনের রিমান্ডে শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। আবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁর বিরুদ্ধে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ২৬ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে বসত ঘরের দরজা দিয়ে মিলি ও তাঁর মা রাশেদা বেগমের ওপর এসিড ছুড়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এসিডে মিলির মুখ, বুক, পিঠ, ডান হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যায়। তাঁর মা রাশেদা বেগমের ডান হাত, বুক ও উরুও ঝলসে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা তাঁদের উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় মিলির বাবা আইয়ুব আলী বাদী হয়ে সুজাতপুর গ্রামের শফিকুল ইসলাম ও তাঁর সহযোগী প্রবাসী মো. বাদলকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ৩ মার্চ সুজাতপুর বাজার এলাকায় মানববন্ধন করা হয়।

শেয়ার করুন