মা ইলিশ রক্ষায় সব কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়েছে : জেলা প্রশাসক

নিজস্ব প্রতিবেদক :
মা ইলিশ রক্ষায় সরকার ঘোষিত ২২ দিনের অভয়াশ্রম কার্যক্রমের বিষয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, এবারে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান বাস্তবায়নে অনেক কর্মসূচি নেয়া হয়েছিল। যার সবগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেছে।
২৫ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর) ফেইসবুক আইডিতে এ তথ্য প্রদান করেন।
জেলা প্রশাসক জানান, জেলে তালিকা হালনাগাদকরন-এরআগে হালনাগাদ হয়েছিল ২০১৬ সালে যা হালনাগাদ করা হল এবার ২০২১ সালে। হালনাগাদ অনুযায়ী চাঁদপুর জেলার ইলিশ মাছ ধরে এমন জেলের সংখ্যা ৪৪ হাজার ৩৫ জন। অভিযান শুরুর আগেই জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চালের ছাড় করা হয়েছিল যা সঠিকভাবে বন্টন হয়েছে। দুস্থ ও অসহায় জেলেদের তালিকা করে তাদেরকে বারিত সময়ে বিকল্প কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে যুবউন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।প্রশিক্ষণকালীন সময়ে জেলেরা প্রশিক্ষণে যেমন ব্যস্ত ছিল তেমনি প্রশিক্ষণ ভাতার মাধ্যমে তাদের আয়ও হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে সল্পসূদে ঋণের ব্যবস্হা করা হয়েছে যা দিয়ে জেলেরা তাদের চাহিদামত নৌকা ও জাল কিনতে পারবে।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ দিনে ও রাতে শিফটিং ডিউটির মাধ্যমে নদী প্রহরা দিয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই জেলা টাস্কফোর্স কমিটির তত্ত্বাবধানে নৌপুলিশ,কোস্টগার্ড,নৌ বাহিনী,মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী, গ্রাম পুলিশ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের সমন্বিত অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
তবে আশার কথা চাঁদপুরের বেশীরভাগ জেলে এবার প্রশাসনের কথা মেনে চলেছে। অল্পকিছু উশৃংখল জেলে যাদের পেছনে কিছু অসাধু ব্যক্তির ইন্ধন আছে তারা ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হবার জন্য বারবার নদীতে নেমে মা ইলিশ হত্যায় মেতে উঠেছে। এদেরকে শক্তহাতে দমন করার জন্য জেল-জরিমানা করা হয়েছে। তাদের জাল পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, নৌকাগুলো জব্দ করে নিলামে বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে সেই টাকা জমা দেয়া হয়েছে। তবে একাজে নদীপাড়ের জনপ্রতিনিধিগন অংশ নিলে কাজগুলো আরো সুন্দর ও সফলভাবে করা সম্ভবপর হত।আশাকরছি আগামী অভিযানে তাদেরকে পাশে পাব।
জেলা প্রশাসক ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ২২ দিনের এ অভিযানে যারা আমাদের প্রশাসনকে সাহায্য করেছেন বিশেষ করে আমাদের সাংবাদিক ভাইদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি চাঁদপুর জেলার সর্বস্তরের জনসাধারণকে।তারা নিরলসভাবে আমাদেরকে অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতা করে গেছেন। আশাকরছি আগামীতে আরো সফলভাবে অভিযানগুলো পরিচালনা করা সম্ভব হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply