শাহমাহমুদপুরে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাট

আশিক বিন রহিম :
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে কবিরাজের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এক নারীর মৃত্যু ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ৫ আগস্ট বুধবার ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মান্দারী গ্রামের কাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এতে লুৎফা বেগম (৪৫) নামের এক নারীকে পিটিয়ে গুরুতর আহতসহ আরো ৫ জনকে আহত করা হয়েছে। আহত অন্যানরা হলেন স্ত্রী লুৎফা বেগমের স্বামী মোস্তফা কাজী (৫৫), মেয়ে আখি বেগম (২৬) ও ছেলের বউ আসমা বেগম (২৫)। আহতরা চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।
খবর পেয়ে বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অপ্রয়োজনীয় আলামত সংগ্রহ করেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মোস্তফা কাজী জানান, তাদের পার্শ্ববর্তী মমিন কাজের স্ত্রী জান্নাত বেগম মঙ্গলবার রাত দশটার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। ওই নারী একমাস যাবত অসুখে ভুগছিলেন। এতে মমিন কাজী পরিবার দাবি করে যে আমরা তাকে কবিরাজের মাধ্যমে বান মেরে হত্যা করেছি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত দশটা থেকে তারা আমাদের বাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। বুধবার দুপুরে নিহতের লাশ দাফন করে মৃত আলী গাজীর পুত্র মমিন কাজী, মজিব কাজী, কুদ্দুস কাজী, পার্শ্ববর্তী হাসান মিজি, জামাল মোল্লা, আমিন গাজীসহ ২০/২৫ জনের একটি সন্ত্রাসী দল আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়।
এসময় তারা হামলা চালিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের বাড়ির তছনছ করে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে নগদ ২ লক্ষ টাকা, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
তিনি আরও জানান সন্ত্রাসীরা দাদন কবিরাজের দেয়া মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। তিনি এই সন্ত্রাসী হামলার বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ের মৃত জান্না বেগমের স্বামী মমিন কাজী জানান, মোস্তফা কাজী দের সাথে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ
রয়েছে। এই বিরোধের জের ধরেই তারা আমার স্ত্রীকে বান মেরে হত্যা করেছে। মৃত্যুর আগে আমি আমার স্ত্রীকে নিয়ে বিষ্ণুদি রোডের দাদন কবিরাজের কাছে গিয়েছিলাম। ওই কবিরাজ জানিয়েছে যে, আমার স্ত্রীকে বান মারা হয়েছিল। এরপর আমরা দুই তিনটি তাবিজ উদ্ধার করেছি।
এ বিষয়ে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদ জানান, বিষয়টি আমি জেনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।
উল্লেখ্য জমিসংক্রান্ত এ বিষয়ে মোস্তফা কাজী পার্শ্ববর্তী মোমিন কাজী তার পরিবারের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে। যার জিডি নং ১৫৭৩। তারিখ ৩১/৮/২০২০। আগামী ১০ আগস্ট এ বিষয়ে মীমাংসা হওয়ার কথা ছিলো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply