শাহমাহমুদপুরে বিষপ্রয়োগে লক্ষাধিক টাকার মাছ নিধন ও লুটের অভিযোগ

মিজান পাটওয়ারী :
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মহামায়া লোধেরগাঁও গ্রামে বিষ প্রয়োগে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১ লক্ষ টাকার মাছ হত্যা ও লুটপাটের অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও স¤প্রতি বিষ প্রয়োগে একই ব্যক্তির করলা তরকারীর গাছ নষ্টের অভিযোগও পাওয়া গেছে। এতে বিষনভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন ঋণ নিয়ে চাষাবাদ করা কৃষক।
অভিযোগ সূত্রে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ইউনিয়নের পূর্ব লোধেরগাঁও শতরূপা গুচ্ছগ্রাম সংলগ্ন মোঃ মাসুদ বেপারী বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ডোবা ও জমি সমেত সম্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেন। তিনি প্রায় ১৫/১৬ বছর যাবত ঋণ নিয়ে বাৎসরিক প্রায় ২০ হাজার টাকা ব্যয়ে পোষাণী বাবদ মাছ ও তরকারী চাষ করে আসছেন। প্রতি বছরের ন্যায় এবারোও তিনি ডোবায় বিভিন্ন আকারের রুই, কাতল, মৃগেল, কার্পু, তেলাপিয়া, পাঙ্গাস মাছ ছাড়েন। এছাড়া ডোবায় শিং, টাকিসহ দেশীয় বহু প্রজাতির মাছ তো রয়েছেই। দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবেই রাতের আঁধারে ডোবায় বিষ ঢেলে দেশী বিদেশী বিভিন্ন প্রজাতির ছোট বড় সকল হত্যা করে কিছু মাছ লুট করে নিয়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত মাসুদ বেপারী জানান, সকাল ভোরে প্রতিদিনের ন্যায় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য কাঁচা তরকারী আনতে মহামায়া বাজারে যান। সেখান থেকে আসার পর স্থানীয় কয়েকজন তাকে মাছ মারার খবরটি দিলে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন ডোবায় মাছ মরে ভেসে উঠা। সেই সাথে বড় বড় আকারের বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলো লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। সকালে ডোবায় মরা মাছ ভেসে উঠতে দেখে ভিড় জমায় এলাকার লোকজন। যে যেভাবে পারছে ধরে নিয়ে যায় বিভিন্ন প্রজাতির মরা মাছ।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্থ চাষি মাসুদ বেপারী আরো জানান, কিস্তি উঠিয়ে আমি পোষানী বাবত জমি ও ডোবায় বহু বছর যাবত মাছ ও তরকারী চাষাবাদ করে আসছি। কিন্তু আশেপাশের দুষ্কৃতিকারীরা বিষ দিয়ে আমার মাছগুলো মেরে নিয়ে যায়। এতে আমার বহু টাকার ক্ষতি সাধিত হয়। এ ছাড়া কিছুদিন পূর্বেও ডোবা সংলগ্ন জমির করলা গাছগুলোতে রাতের আঁধারে বিষ প্রয়োগ করার ফলে গাছগুলো মরে শুকিয়ে যায়। গত কয়েক বছর আগেও দুর্বৃত্তরা তার ডোবায় বিষ প্রয়োগ করে মাছ লুট করে নিয়ে যায়। তখন তিনি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়েরি করেছিলেন। এবার আবারও মাছ এবং তরকারী জমির ক্ষতি করে। বিষয়টি জানানোর জন্য শাহমাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান স্বপন মাহমুদকে ক্ষতিগ্রস্ত মাসুদ বেপারী ও সংবাদকর্মীরা একাধিকবার মোবাইলে কল করার চেষ্টা করা হলেও পাওয়া যায়নি। এব্যাপারে তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply