শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল গ্রেনেড হামলার মূল উদ্দেশ্য : রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এমপি

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বার্ষিকী উপলক্ষে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত হামলায় নিহত শহীদদের স্মরনে হাজীগঞ্জে শোকসভা ও দোয়া-মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটিসহ দলীয় অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে টেলিকনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী আসনের সাংসদ মেজর অব. রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম।
তিনি বলেন, ২০০৪ সালের এই দিনে সভ্য জগতের অকল্পনীয় হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে রাজনৈতিক সমাবেশে। আওয়ামী লীগের জনসভায় চালানো গ্রেনেডের হিংসার দানবীয় সন্ত্রাস আক্রান্ত করে মানবতাকে। আক্রান্ত হন স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুরকন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সন্ত্রাসীবিরোধী সমাবেশে কথা বলতে গিয়ে সন্ত্রাসের শিকার হন আওয়ামী লীগ সভাপতি। হামলার ধরন ও লক্ষ্যস্থল থেকে এটা স্পষ্টত যে, শেখ হাসিনাকে হত্যা করাই ছিল ওই গ্রেনেড হামলা ও গুলিবর্ষণের মূল উদ্দেশ্য। দলীয় নেতা-কর্মীদের তৈরি মানববর্মে শেখ হাসিনা রক্ষা পেলেও দলের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতা-কর্মী প্রাণ হারান।
তৎকালীন জোট সরকার এর প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশব্যাপী যখন দুর্নীতির মহোৎসব পরিণত হয়েছিল তার ধারাবাহিকতা রক্ষায় তারা দেশরত্ন শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছে। এই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত আছে। তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের উদ্দেশ্য কোনদিন সফল হবে না। বাংলার মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রয়েছেন। আগুন সন্ত্রাসীদের বারবার জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ ও উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটিসহ দলীয় অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে ২১ আগস্ট গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
রাজারগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল হাদী মিয়ার সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী জসিম উদ্দিন
ও বাকিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের যৌথ
সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোকসভায় নেতৃবৃন্দ ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট নারকীয় হত্যাকাণ্ডে নিহত শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় নিহত বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন শহীদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন, হাজীগঞ্জ ঐতিহাসিক বড় মসজিদের সহকারী ইমাম মুফতি মো. এনামুল হক নাসিরাবাদী।
শোকসভায় আরো বক্তব্য রাখেন, কালচোঁ উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মানিক হোসেন প্রধানীয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন মিয়াজী, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক জহিরুল ইসলাম মামুন, পৌর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুন্সী মোহাম্মদ মনির, কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের উন্নয়ন সমন্বয়ক কমিটির আহবায়ক রোটা. এস.এম মানিক, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মাসুদ ইকবাল, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জাকির হোসেন সোহেল, হাজীগঞ্জ সদর ইউনিয়ন (পূর্ব) যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ প্রধানীয়া সুমন, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান, পৌর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহেল আলম বেপারী, সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বী প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরআন তেলওয়াত করেন, বড়কুল পূর্ব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রোটা. আবু জাফর মুন্সী।
এ সময় হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ, বড়কুল পশ্চিম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মনির হোসেন গাজী, হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল, গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বকাউল, বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রব খোকন বিএসসিসহ অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধা, উপজেলা আওয়ামী লীগ, উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি, উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ-সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply