হাজীগঞ্জে ধুমধামে বিয়ের আয়োজন, খবর পেয়ে হাজির ইউএনও

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
আর মাত্র কিছুক্ষণের মধ্যেই বিয়ের লগ্ন শুরু হবে, বাড়ির অনতিদূরে বর পক্ষ চলে এসেছে। কঠোর লকডাউনে মধ্যেই অনুষ্ঠিত হচ্ছিল সনাতন ধর্মালম্বী এক তরুণীর বিয়ে। বাড়ির সামনে বিশালাকৃতির গেট। চারদিকে জমকালো লাইটিং, ঢাক-ঢোল আর উচ্চ আওয়াজে গান-বাজনার সাথে নৃত্য। এক কথায় মহা ধুমধামে চলছিল বিয়ের আনন্দ। ঠিক তখনি পুলিশ নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার। তার উপস্থিতিতে যেন সবকিছু বিষাদে পরিণত। খুলে ফেলা হলো বিয়ের গেট এবং বর ও কনের উভয় পক্ষের ৪ জনের উপস্থিতিতে কনের নানার বাড়িতে হাটিলা পশ্চিম ইউনিয়নে ধড্ডা গ্রামে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ঘরের মধ্যে সম্পন্ন হলো এই বিয়ের আয়োজন।
তাই বিয়ে বন্ধ না করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে তাৎক্ষনিক বন্ধ হলো ঢাক-ঢোলসহ নৃত্য আর গান-বাজনাসহ সব অনুষ্ঠান ও জনসমাগম।
জানা গেছে, এদিন রাতেই আদালতের কাছে খবর আসে কুমিল্লার লাকসাম এলাকার অমল চন্দ্রের মেয়ে রুপালী (ছদ্দনাম) কে হাজীগঞ্জের ধড্ডা তার নানার বাড়িতে এনে বিয়ে দেয়া হচ্ছে। বর হাজীগঞ্জের উচ্চঙ্গা গ্রামের হারাধনের ছেলে কমল দাস। বিয়ে সমস্যা নয়। সমস্যা হচ্ছে, করোনার এই অতিমারিতে জনসমাগম আর জমকালো আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিয়ের আনন্দ ঢাক-ঢোল, নৃত্য ও গান-বাজনা, তাই পুলিশ নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোমেনা আক্তার বিয়ে বাড়িতে হাজির হন। তথ্যের সত্যতা পেয়ে তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ের সব আয়োজন বন্ধ করে দেন তিনি এবং বর-কনেসহ ৪জনের উপস্থিতিতে বিয়ের দেয়ার নির্দেশনা দেন অভিভাবকদের। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ জাকির হোসেন লিটু ও হাজীগঞ্জ থানার এসআই মো. মাসুদ মুন্সী উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোমেনা আক্তার জানান, সনাতন ধর্মালম্বীদের বিয়ের রীতিতে লগ্ন একটা বড় বিষয়। তাই লগ্ন ঠিক রেখে ঘরের মধ্যে বিয়ের কাজ সম্পন্ন এবং জনসমাগমসহ অন্যান্য বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply