হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ‘স্যাকমো’ অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে রোগী দেখেন ফরিদগঞ্জে

আব্দুল কাদির :
নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (স্যাকমো) মো: হেলাল উদ্দিন চাঁদপুরের ফরিদঞ্জের শিশু, মেডিসিন,গাইনি, চর্ম-যৌন ও বাত ব্যাথা রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার পরিচয়ে উপজেলার কামতা বাজোরের রওশান আরা মেডিকেল হলে দীর্ঘ কয়েক বছর যাবৎ রোগী দেখছেন।
জানা গেছে, প্রায় দশ বছর ধরে তিনি উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি করেন। এক সময় তিনি ফরিদগঞ্জে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে চাকরি করেছেন। সেসময় তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগের কারণে হাতিয়া বদলি করা হয়। গত তিন বছর ধরে তিনি সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। সেই সাথে ফরিদগঞ্জের ওই ফার্মেসিতে রোগী দেখেন। প্রতি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখেন তিনি। প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে ভিজিট নেন ৩০০ টাকা দরে।
উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হেলাল উদ্দিন বলেন, আমি মেটস থেকে মেডিসিন, সার্জারী, শিশুসহ বিভিন্ন বিষয়ে ৪ বছর মেয়াদী কোর্স করেছি। পরে আমি উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকরিতে যোগদান করি। গত ১৩ বছর ধরে হাজীগঞ্জ, হাইমচর, ফরিদগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে চাকরি করেছি।
তিনি আরও বলেন, হাইকোর্টে আমাদের রিট আছে আমাদের পক্ষে। এটি মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আমরা ডাক্তার লিখতে পারবো। এছাড়া আমাকে হাতিয়ায় বদলি করা হয়নি, আমি নিজের সুবিধার্থে হাতিয়ায় বদলি হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এখানে চেম্বার করতে আমারও কষ্ট হয়। দীর্ঘ দিন এখানে চাকরির সুবাদে সপ্তাহে একদিন আসি।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আশ্রাফ আহমেদ চৌধুরী জানান, এম বি বি এস এবং বিএমডিসির নিবন্ধন প্রাপ্ত না হয়ে ডাক্তার পরিচয় দেওয়া আইনত দন্ডনীয় অপরাধ।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক কর্মকর্তা নাজিম উদ্দিন জানান, হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে এর আগেও এধরনের অভিযোগ উঠেছিল। তাকে আমরা সতর্ক করেছি এবং অঙ্গিকার নিয়েছিলাম ভবিষ্যতে এধরনের কর্মকান্ডে আর লিপ্ত যেন না হয়।
বর্তমান হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা খাদিজা রহমান জানান, আজকে আমি হেলাল উদ্দিনের খোঁজ করে ব্যর্থ হয়েছি। বিষয়টির সত্যতা পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ওনাদের রোগী দেখার অনুমতি আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে পারবে। নির্দেশণা অনুযায়ী কিছু ওষুধ ওনারা লিখতে পারবেন। এগুলো সরকার নির্ধারিত করা আছে। কিন্তু ওনারা নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। এমবিবিএস ডিগ্রি ছাড়া কেউ নামের আগে ডাক্তার লিখতে পারবে না। সেটি করলে তা অপরাধ হবে।

শেয়ার করুন