ভারত পায়ে পড়ে ঝগড়া করলে বাংলাদেশের লোকজন কোনদিন ওই দেশমুখী হবে না : এম সাখাওয়াত হোসেন
তিনি বলেন, ভারতীয় হাইকমিশনারকে তলব করা হয়েছে অথবা তলব করা হবে। ভারতের সঙ্গে আমাদের কোন খারাপ সম্পর্ক ছিলো না। আমাদের দেশে অন্য ধর্মালম্বী যারা আছেন তারা আমাদের দেশের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তার বিষয় আমরা দেখব এবং সরকারের কাজই হলো এটি। অনেকেই তাদের মিডিয়াতে এসে হুমকি দিচ্ছেন। দয়া করে এটি আর করবেন না।
বন্দরের নির্মাণ কাজে অনিয়ম প্রসঙ্গে বলেন, পূর্বে যারা কাজটির অনিয়ম কিংবা চুরি করেছে, তাদেরকেত আর জাল দিয়ে ধরে আনা যাবে না। এখন যাতে করে কোন ধরণের চুরি না হয় সেটাই আমাদের দেখা দরকার। নানা কারণে কাজটি করতে দেরি হচ্ছে, যে কারণে নিজেই দেখার জন্য এসেছি। যে প্রতিষ্ঠান কাজটি নিয়েছেন, তাদের পূর্বেই চিন্তা করা দরকার ছিলো কাজটিতে চ্যালেঞ্জ আছে। যদি তাদের কারণে বিশ^ ব্যাংকের এই বরাদ্দ ফেরত যায়, তাহলে এই ঠিকাদারকে ধরবো।
তিনি বলেন, চাঁদপুরে একটি ভাল প্রকল্প হচ্ছে, আমি চাঁদপুরবাসীর কাছে অনুরোধ করবো আপনাদের যা যা সহযোগিতা করা দরকার, তাই করুন। অনেকে এখানে অবৈধভাবে বিভিন্ন স্থাপনা তুলেছেন। বলছেন রেলওয়ের জায়গা। আমরা কারো সাথে আপোষ করবো না। উন্নয়ন কর্মকান্ড আপনাদের অর্থাৎ জনগণের জন্য। এখানে আমরা এসে থাকবে না। আপনারা ব্যবহার করবেন। এটি নির্মাণে যদি কোন অনিয়ম হয়, সে বিষয় তুলে ধরেন।
মেঘনায় ড্রেজারে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, আমি ঢাকা থেকে আসার সময় চাঁদপুর ও মুন্সীগঞ্জ এর মাঝামাঝি ষাটনল এলাকায় দেখেছি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করছে। আমাকে দেখে তারা পালিয়েছে। কিন্তু আমি ছবি তুলে রেখেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসককে ডেকেছি কথা বলার জন্য। আমি সেখানে যাব। যারা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে, তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন, পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ আব্দুর রকিব, নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্তহ বিআইডাব্লিউটিএর স্থানীয় কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।