কচুয়ার ১২ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ১১৩ জন

কচুয়া প্রতিনিধি :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বর্তমান মেয়াদে সারাদেশ ব্যাপী ধাপে ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন চলছে। তৃনমূল থেকে প্রার্থীতা বাছাইয়ের মাধ্যমে চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মনোনয়নের লক্ষে কেন্দ্র ও জেলা আওয়ামী লীগের নির্দেশ মোতাবেক কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ ১২টি ইউনিয়নে উৎসবমুখর পরিবেশে পৃথক ভাবে বর্ধিত সভা সম্পন্ন করে। ওই সভায় কচুয়ার সাংসদ ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি,জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. একেএম আব্দুল মোতালেব ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থেকে ১২ নভেম্বর থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত ১২টি ইউনিয়নের তৃনমূল নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে এ সভা সম্পন্ন করে। এতে ১২টি ইউনিয়নে ১১৩জন প্রার্থী আসন্ন ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নৌকা মনোনয়ন প্রত্যাশা করে নাম প্রস্তাব করেন।
নিচে বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হলো:
১নং সাচার ৭ জন প্রার্থীর নামের প্রস্তাব আসে। এরা হচ্ছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মিন্নত আলী তালুকদার মিনু, সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান মনির হোসেন, উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা ও বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আমেনা আক্তার,উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. কলিমউল্লাহ, আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম মজুমদার শুভ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইঞ্জি. জহিরুল ইসলাম প্রধান, ও উপজেলা যুবলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক নিমাই সরকার ।
২নং পাথৈর ইউনিয়নে ৯জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম আসে। তারা হচ্ছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাউদ্দিন লিটন,সাধারন সম্পাদক ফারুকুল ইসলাম,বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল,উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবিএস রিয়াদ মাহমুদ চৌধুরী জুয়েল,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল বাতের সরকার,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক কামাল পারভেজ মিয়াজী,ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. জুয়েল মিয়াজী,যুবলীগ নেতা তারেক হাবীব ও রাহাত মামুন চৌধুরী।
৩নং বিতারা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে তৃনুমূল থেকে ১১ জনের প্রার্থীর নাম ঘোষনা আসে। প্রার্থীরা হচ্ছেন, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি রাজীব আহমেদ রাজু,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সোহাগ খান,সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সালমা সহিদ,ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ইসমাইল ভূঁইয়া,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কবির হোসেন মজুমদার,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি হাজী মো. শাহজাহান,উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জিল্লু,আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান,আতাউর রহমান মুন্সী ও উত্তম কুমার দেবনাথ । তবে এ ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হয়। তিনি ওই বর্ধিত সভায় উপস্থিত না হলেও পূনরায় নৌকা পদে মনোনয়ন বাগিয়ে নিয়ে আসতে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। অন্যদিকে কুয়েত প্রবাসী উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি শরীফুল ইসলাম সরকার ও নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দেশে ফিরে প্রচার-প্রচারনা করছেন।
৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী আব্দুল আহাদ, বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মো. ইমাম হোসেন সোহাগ,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক হাবিবুর রহমান জয় ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডা. মাসুদুর রহমান বাবুল। তবে এ ইউনিয়নে সাবেক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম হোসেনের সমর্থক বিগত নির্বাচনে প্রতিদন্ধি প্রার্থী বাবুল সর্দার বর্ধিত সভায় উপস্থিত না হলেও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে ইউনিয়ন ব্যাপী জোর গুঞ্জন চলছে।
৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৯জনের নাম প্রস্তাব আসে। তার হলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর হোসেন,সাধারন সম্পাদক সোহরাব হোসেন সুমন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান,সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল কাদের,উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন পাটওয়ারী দুলাল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন মুন্সী,দেলেয়ার হোসেন পাটওয়ারী,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মামুনুর রহমান ভূঁইয়া ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহিন আলম শাহিন। তবে এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুস সামাদ আজাদ এর নাম বর্ধিত সভায় প্রস্তাব করলে তুমুল বিরোধীতা করেন কিছু নেতাকর্মী। তবে এ নির্বাচনে আব্দুস সামাদ আজাদ দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র পদে হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন বলে তার কর্মী সমর্থকরা জানিয়েছেন।
৬নং উত্তর কচুয়া ইউনিয়নে ১৩জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম আসে। তারা হচ্ছেন, কচুয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা সাংবাদিক রাকিবুল হাসান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জহিরুল হক টগর, সাধারন সম্পাদক এম. আখতার হোসাইন মজুমদার, বর্তমান চেয়ারম্যান কাজী জহিরুল ইসলাম জাহাঙ্গীর,ইউনিয়ন মৎস্যজীবী লীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মো.ফয়েজ উল্লাহ ফয়েজ, আওয়ামীলীগ নেতা মজিবুর রহমান মেম্বার, আওয়ামী লীগ নেতা মাওলানা নাছির উদ্দিন,জসিম উদ্দিন মোল্লা, ফারুক আহমেদ প্রধান,মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম মাস্টার,আওয়ামী লীগ নেতা সফি উল্লাহ সফি,ফজলুল হক সরকার ও ফারুক মোল্লা ।
৭নং সদর দক্ষিন ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮জনের নাম প্রস্তাব আসে। তার হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন লিটন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লিটন মুন্সী,আওয়ামী লীগ নেতা আলী আজগর প্রধান,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল,আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান, মহিউদ্দিন আলমগীর তালুকদার,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নুর মোহাম্মদ ও ছাত্রলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম সানি।
৮নং কাদলা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জনের নাম প্রস্তাব আসে। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম লালু,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম,সাধারন সম্পাদক আবুল হাসানাত ফরহাদ,উপজেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শাহজালাল প্রধান জালাল, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল হাই,উপজেলা যুবলীগের সদস্য ও স্বপ্নঘুড়ি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান নূরে আলম রিহাত,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারন সম্পাদক মোফাচ্ছেল হোসেন খান, আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান,জহিরুল ইসলাম প্রধান,সফিকুল ইসলাম পাঠান স্বপন ,মুক্তার হোসেন খান,সালাউদ্দিন মজুমদার ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী রোকেয়া বেগম।
৯নং কড়ইয়া ইউনিয়নে ১৪জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর নাম প্রস্তাবনা আসে। তারা হচ্ছেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস ছালাম সওদাগর,বর্তমান চেয়ারম্যান আহসান হাবীব জুয়েল,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য সোলাইমান মিয়া জীবন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আবু বকর মিয়াজী,উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল খায়ের মজুমদার,আওয়ামী লীগ নেতা সোলাইমান মিয়াজী,জিসান আহমেদ পাটওয়ারী,সেলিম সরকার,ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক তারেক শামস মিঠু,উপজেলা যুবলীগের সদস্য ইঞ্জি. রাশেদ হোসাইন,মঞ্জুর এলাহী মজুমদার,মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ফারহানা পারভীন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পারভেজ ভূঁইয়া,স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রিয়াদ।
১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৮জন প্রার্থীর নাম প্রস্তাব আসে। তারা হচ্ছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কবির হোসেন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. আমিন উদ্দিন,আওয়ামী লীগ নেতা সোহাগ মিয়া,শাহজাহান প্রধানীয়া,ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি মনির হোসেন,আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর মিয়াজী,ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান মুন্সী ও সাংবাদিক এম. মফিজুল ইসলাম ভূঁইয়া জনি।
১১নং গোহট উত্তর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ১১জন প্রার্থীর নামের প্রস্তাব আসে। তারা হচ্ছেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আমির হোসেন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. সেলিম হোসেন ,উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শহীদ উল্যাহ,সোহেল চৌধুরী,উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক এস.এম জাকির হোসেন সবুজ,আওয়ামী লীগ নেতা পূর্ন চন্দ্র ভৌমিক,এমরান হোসেন,সফিকুল ইসলাম চৌধুরী,খোরশেদ আলম জেলা পরিষদের সদস্য সালাউদ্দিন ভূঁইয়া ও জাহাঙ্গীর আলম।
১২নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৫ জনের নাম প্রস্তাব আসে। তারা হলেন, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সফিকুল ইসলাম মাষ্টার,উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষনা উপ-কমিটির সদস্য ও সাবেক যুবলীগ নেতা কাজী এনামুল হক শামীম,উপজেলা যুবলীগের সহ- সম্পাদক অ্যাড. আবু ইউসুফ পাটওয়ারী ও আশ্রাফপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শরীফ মানছুরী।
এদিকে কচুয়ায় ১২টি ইউনিয়নের বর্ধিত সভা উৎসবমূখর ও শান্তিপূর্ন ভাবে সম্পন্ন হওয়া প্রসঙ্গে জলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জি. একেএম আব্দুল মোতালেব বলেন, আমাকে জেলার নেতা হিসেবে আমার নিজ উপজেলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। দলীয় সিদ্ধান্ত ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক সকলের সহযোগিতায় আমরা ১২টি ইউনিয়নে বর্ধিত সভা সম্পন্ন করেছি। নিয়ম অনুযায়ী জেলায় পরবর্তীতে কেন্দ্রে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের নামের তালিকা পাঠানো হবে। দলীয় সভানেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং মনোনয়ন বোর্ড যাচাই বাছাই শেষে যাদেরকে নৌকার মাঝি মনোনীত করেন আমরা তাদের পক্ষে কাজ করব।

শেয়ার করুন

Leave a Reply