কচুয়ায় আ.লীগের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা, ২২ নেতা-কর্মীর জামিন

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাকে কেন্দ্র করে হামলা ও সংর্ঘষের ঘটনায় বেআইনী জনতাবদ্ধে মারাত্মক অস্ত্রসহ দাঙ্গা করে খুনের চেষ্টাসহ সাধারণ কাটা জখম ও গুরুত্বর কাটা জখম করে মানহানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন করার অপরাধে ২২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরোও ১২জনকে আসামী করে কচুয়া থানায় মামলা হয়েছে। মামলা বাদী কচুয়া বাইছারা গ্রামের আলী আজগর সরকারের ছেলে মো. সালাউদ্দিন সরকার।

বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে এই মামলার ২২ জন আসামী কচুয়া আমলী আদালতে হাজির হলে সকলের জামিন মঞ্জুর করেন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নাজমুল হাসান চেীধুরী।

সোমবার (১ আগষ্ট) কচুয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শুরু হওয়ার পূর্বে ও পরে কচুয়া পৌরসভার পলাশপুর বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীদের অনুসরারীরা ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটায়।

চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়ের নেতৃত্ব ওই সময় ঘটনা নিয়ন্ত্রণ ও পরিস্থিতি শান্ত করেন। পরদিন মঙ্গলবার (২ আগষ্ট) দুপুরে মো. সালাউদ্দিন সরকার কচুয়া থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।

মামলার আসামীরা হলেন-গাজী ফারুক, মো. সোহাগ, গাজী কামাল, মো. মেহেদী হাসান, মো. নুরুল আফসার. মো. হোসেন, আউয়াল, মো. তুহিন, মো. শাকিল, মো. রাব্বি, মুনতাসির শাকিল, এমর হোসেন, সোহাগ, মো. জামাল হোসেন, মো. মোহন রাজ, গাজী কায়েস, মো. ফয়েজ, শাহ পরান, ইব্রাহিম পাটোয়ারী, মাসুদ, মো. সেলিম ও আলম।

মামলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, ঘটনার দিন আসামীরা সংঘবদ্ধ হয়ে মিছিল নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। তারা অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে এবং বাদীসহ অন্যদেরকে মারধর করে। তারা আত্মরক্ষার্থে উপজেলা পরিষদ এর ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবু রহমানের ব্যাক্তিগত অফিস কক্ষে প্রবেশ করলে সেখানে গিয়েও তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করে এবং অফিস ভাংচুর করে। একই সাথে অফিস থেকে নগদ অর্থ নিয়ে যান বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন।

আসামী পক্ষের আইনজীবি, কচুয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী অ্যাড. হেলাল উদ্দিন বলেন, বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পরও যুবলীগ, ছাত্রলীগ পরীক্ষিত ২২ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা মামলা প্রত্যাশা করি না। আশা করি উভয়পক্ষ শান্তিপূর্ণ সহ-অবস্থানে থেকে ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর এমপির নেতৃত্বে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।

আসামী পক্ষে আইনজীবি অ্যাড. আবদুল লতিফ শেখ, অ্যাড. জহিরুল ইসলাম, অ্যাড. আহসান হাবিব, অ্যাড. আবদুল্লাহ আল মামুন, অ্যাড. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া, অ্যাড. বদিউজ্জামান কিরণ, অ্যাড. জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী, অ্যাড. জসিম উদ্দিন-২, অ্যাড. মোহাম্মদ আলী, অ্যাড. শাহ আলম-২সহ প্রায় অর্ধশত আইনজীবি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply