করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলায় অক্সিজেন মজুদ, আইসোলেশনে বেড দ্বিগুণ করার নির্দেশ

ইব্রাহীম রনি :
করোনা ভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ মোকাবেলা বিষয়ে চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাদের সাথে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ডাইরেক্টর হাসান শাহরিয়ার কবিরের সাথে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ জুন রোববার চাঁদপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ এবং আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেডের সংখ্যা দ্বিগুণ করার নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক হাবিব উল করিম, সিভিল সার্জন ডা. মো. সাখাওয়াত উল্যাহসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ জানান, সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের ডাইরেক্টর স্যার করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি খারাপ হলে জরুরীভিত্তিতে অক্সিজেন ব্যবস্থা করা যাবে কি না, আইসোলেশনে বেড সংখ্যা বাড়ানো যাবে কি না, এখানে জনবল সংকট কেমন আছে- এসব বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেছেন।
সিভিল সার্জন বলেন, কোভিড১৯ কালিন সময়ে এবং পরবর্তীতে কোন তৃতীয় ঢেউ আসলে সে বিষয়ে প্রস্তুতির বিষয়ে কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, করোনাকালীন জরুরী পরিস্থিতিতে যেন অক্সিজেনের সংকট দেখা না দেয়। সেজন্য সব উপজেলাগুলোকে বলা হয়েছে পর্যাপ্ত অক্সিজেন মজুদ রাখার জন্য। এখন যা আছে তার থেকে আরও ১৫-২০ করে অতিরিক্ত অক্সিজেন কিনে রাখার কথা বলা হয়েছে। এছাড়া এখন উপজেলা পর্যায়ে আইসোলেশন বেড ৭টি রয়েছে। এটিকে বাড়িয়ে ১৪টি করার কথা বলা হয়েছে।
এছাড়া একই দিন যক্ষার কোয়ার্টারলি মনিটরি মিটিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশকে যক্ষ্মামুক্ত করতে ২০৩৫ সালের মধ্যে জিরো টিবি বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে কার্যক্রম জোরদারকরণ, টিবির কেইস বাড়াতে হবে এবং কেইস ফাইন্ডিংসের উপর জোর দিতে হবে- এ নির্দেশনা দিয়েছেন বিভাগীয় ডাইরেক্টর। টিবির বিষয়ে বলেছেন- কেইস বাড়ানোর জন্য। যাদের দুই সপ্তাহের বেশি সর্দি, কাশি, জ্বর থাকবে তাদের সবাইকে টিবি পরীক্ষার আওতায় আনতে হবে। এছাড়া শিশু টিবি রোগীর উপর গুরুত্ব দেয়ার জন্য বলেছেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজেদা বেগম পলিন, হাজীগঞ্জের ডা. এসএম সোয়েব আহমেদ চিশতী, ফরিদগঞ্জের ডা. আশরাফ আহমেদ চৌধুরী, হাইমচরের ডা. মো. বেলায়েত হোসেন, কচুয়ার ডা. সালাহ উদ্দীন মাহমুদ, মতলব দক্ষিণের ডা. মো. গোলাম কাউছার হিমেল, মতলব উত্তরের ডা. নুসরাত জাহান মিথেন, শাহরাস্তির ডা. মো. নাসির উদ্দিন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply