চাঁদপুরে করোনা উপসর্গে ৬ জনের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁদপুরে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর সদরের হাবিব খান (৭০), আনোয়ার হোসেন খান (৫০), মতলব দক্ষিণ উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন (৬৭) ও অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার অহিদুজ্জামান খন্দকার (৭০), ফরিদগঞ্জের তাজুল ইসলাম (৩২), হাজীগঞ্জের বলাখালের নুরুল আমিন ( ৫০)। এর মধ্যে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনা উপসর্গ নিয়ে তিন ব্যক্তির মৃত্যু হয়। মৃতদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, চাঁদপুর সদরের বাবুরহাট বাজারের ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন খান (৫০) বিকেল সোয়া ৫টায় মারা গেছেন। তিনি গত ৮/১০ দিন যাবত জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাড়ি থেকে ঢাকা নেওয়ার পথে মতলব নন্দলালপুর এলাকায় মারা যায়।
তারই চাচা হাবিব খান (৭০) তার মৃত্যুর ৩ ঘণ্টা আগে দুপুর ২টায় চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে মারা যান। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় তিনি মারা যান।
চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সাজেদা পলিন জানান, তারা একই বাড়ি। মৃত্যুর পর দাফন কমিটি ও স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাফন করা হয়েছে।
মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদী উত্তর ইউনিয়নের আবুল হোসেন (৬৭) নামের এক মুক্তিযোদ্ধা করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে মারা যান। আবুল হোসেনকে চিকিৎসার জন্য গত বৃহস্পতিবার (৪ জুন) ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। বিকেল ৪টায় তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে উত্তর উপাদী প্রধানীয়া বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এছাড়া একই উপজেলার খাদেরগাঁও ইউনয়নের অহিদুজ্জামান খন্দকার (৭০) নামের এক সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সকাল ৮টায় মারা যান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহমিদা হক বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ওই পরিবারের সদস্যদের নমুনা সংগ্রহ করা ও বাড়িগুলো লকডাউন করা হয়।
হাজীগঞ্জ পৌরসভার বলাখাল ২নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নুরুল আমিন (৫০) চাঁদপুর ২৫০শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে আইসেলোশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
চাঁদপুর ২৫০ শয্যার সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি গত রাত ১০টায় মারা যান। পরে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে তার স্বজনরা আসার পর তাদের এবং স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে মরদেহ দাফন করা হয়।
এদিকে ফরিদগঞ্জ উপজেলার নয়াহাট হাইস্কুলের ২০০২ ব্যাচের মেধাবী ছাত্র মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তাজুল ইসলাম (৩২) করোনা উপসর্গে নিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে মারা যান। তাজুল ইসলাম বৃহস্পতিবার সকালে ভর্তি হন। দুপুর আড়াইটার দিকে মারা যান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply