ডিজিটাল হোল্ডিং প্লেট লাগানোর উত্তোলণ : টাকা ফেরত দিলেন হাটিলার ইউপি চেয়ারম্যান

শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
হাজীগঞ্জ উপজেলার ৮নং হাটিলা পূর্ব ইউনিয়নে হোল্ডিং প্লেটের নামে ২০০ টাকা করে নেয় চাঁদা ফেরত দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল। গতকাল শনিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে তিনি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে রশিদ নিয়ে আসা গ্রাহকদের মাঝে ২০০ টাকা করে ফেরত দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার তিনি প্রায় ৪৫০ থেকে ৫০০ জন গ্রাহকের টাকা ফেরত দিয়েছে। বাকীদেরকে আগামী ২৫ নভেম্বরের মধ্যে ১১ টা থেকে ১ টার মধ্যে কার্যালয়ে এসে রশিদ দেখিয়ে টাকা ফেরত নিতে পারবে বলে জানান।
গত ১৫ নভেম্বর থেকে প্রায় ৯১০ জন গ্রাহকের ১লাখ ৮২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশকৃত এনজিও কর্মীরা। এলাকাবাসীর প্রতিবাদের মুখে এনজিও কর্মী পরিচয় দেয়া ৭জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ইউপি চেয়ারম্যান টাকা ফেরত দিবে বলে মুছলেকা দিলে ছাড় পায় ওই এনজিও কর্মীরা।
ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক রাসেল মজুমদার বলেন, জনগণের সাথে চাঁদাবাজি করলে জনপ্রতিনিধি হওয়া উচিত নয়। চলতি মাসের ১০ নভেম্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. জলিলুর রহমান মির্জা দুলাল স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে গত ১৫ তারিখ থেকে নয়টি ওয়ার্ডে কাজ শুরু করে এনজিও কর্মীরা। ওই ২শ টাকার মধ্যে ১২০ টাকা এনজিওর ও ৮০ টাকা ইউনিয়ন পরিষদের। ইউনিয়ন পরিষদের টাকা সচিব বা পরিষদের ব্যাংক একাউন্টে জমা না রেখে ইউপি সদস্য মুকবুল বকাউলের কাছে জমা রাখে এনজিও কর্মিরা।
শনিবার হোল্ডিং প্লেটের জন্য ২০০ টাকা করে চাঁদা দেয়া একাধিক গ্রাহক ওই টাকা ফেরত পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন। তাদের মধ্যে হাটিলা গ্রামের স্বপন, জামাল , আরিফ, ইলিয়াছ, বীরেশ্বর পাল, গিয়াস উদ্দিন বকাউল, শাহজালাল, সাত্তার ও আবদুল কাদেরসহ আরো অনেকেই।
তবে ওই চাঁদার টাকা ফেরত দেয়ার সময় কোন ইউপি সদস্যের দেখা মিলেনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply