মতলবগামী লঞ্চে ডাকাতি, দেড় শতাধিক যাত্রীর মালামাল লুট

নিজস্ব প্রতিবেদক :
নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরগামী এমভি মকবুল-২ নামের একটি যাত্রীবাহী লঞ্চে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। নৌ-পুলিশের দাবি, লঞ্চটিতে প্রায় ১৫০ যাত্রী ছিলেন। স্পিডবোটের মাধ্যমে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে লঞ্চে ওঠে আট থেকে ১০ ডাকাত। তারা প্রায় শতাধিক মোবাইল সেট, কয়েক লাখ টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) দিবাগত রাত ১১টার দিকে মুন্সীগঞ্জ ও চাঁদপুর সীমানায় মেঘনা নদীর মোহনায় এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকাল ৯টায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা।

লঞ্চের একাধিক যাত্রী ও স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, স্পিডবোটে করে প্রথমে এক ডাকাত লঞ্চে প্রবেশ করে। বেশ কিছুক্ষণ পর আরও দুটি স্পিডবোটে ১০-১২ জন ডাকাত লঞ্চে প্রবেশ করে। এরপর ফাঁকা গুলি ছুড়ে যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে তারা। পরে তারা শতাধিক মোবাইল ফোনসেট, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কার, মালামাল লুট করে। এভাবে ৩০ মিনিটের বেশি সময় ধরে লুটপাট চলে। শেষের দিকে এসে যাত্রীরা চিৎকার করলে অনেকগুলো ফাঁকা গুলি ছোড়া হয় ও তারপর তারা পালিয়ে যায়। সাপ্তাহিক ছুটি শুরুর আগের রাত বলে লঞ্চে বেশিরভাগ যাত্রী ছিলেন চাকরিজীবী, লঞ্চটিও কানায় কানায় পূর্ণ ছিল।
এমভি মকবুল-২

গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (চলতি দায়িত্ব) মুজিবুর রহমান জানান, প্রায় ১৫০ যাত্রী নিয়ে রাত ৯টায় নারায়ণগঞ্জ থেকে চাঁদপুরের মতলব যাচ্ছিল এমভি মকবুল-২ নামের যাত্রীবাহী লঞ্চ। মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া ঘাটে যাত্রী নামিয়ে আবার চাঁদপুরের দিকে যাত্রা শুরু করে। পথে রাত পৌনে ১১টার দিকে মেঘনা নদীর মোহনায় ষাটনল এলাকায় অবস্থানকালে স্পিডবোট নিয়ে আট থেকে ১০ জনের ডাকাতদল লঞ্চে প্রবেশ করে। তারা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে যাত্রীদের হুমকি দেয়। এরপর অন্তত ৩০টি মোবাইল সেট, কয়েক লাখ টাকা ও মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়। তাদের কাউকে আটক করা যায়নি।

তিনি জানান, স্থানীয়ভাবে কয়েকজন নৌ-পুলিশকে খবর দিলে তাৎক্ষণিক স্পিডবোট নিয়ে তারা ঘটনাস্থলে যায়। এ ঘটনায় যাত্রীদের থেকে কোনও অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply