শিক্ষার্থীদের এক হাজার করে টাকা দেওয়া হবে : প্রধানমন্ত্রী

শিক্ষার্থীদের এক হাজার করে টাকা দেওয়া হবে : প্রধানমন্ত্রীকরোনাভাইরাসে সবার জীবন স্থবির হয়ে পড়ায় শিক্ষার্থীদের এক হাজার করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যাতে করে শিক্ষার্থীরা তাদের কাপড়-চোপড় ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারে। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় সংসদের চলমান অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
করোনাকালে নেওয়া সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজগুলো তুলে ধরে সরকারপ্রধান বলেন, ‘২১টি প্যাকেজে এক লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছি। তা জিডিপির ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। এর বাইরেও ননএমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আমার বিশেষ তহবিল থেকে আর্থিক সহায়তা দিয়েছি। প্রতিটি মসজিদ-মাদ্রাসায় টাকা পাঠিয়েছি। সরকারের প্রণোদনার বাইরেও আর্থিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। কোনও মানুষ যেন কষ্টে না থাকে সেদিকে বিশেষ দৃষ্টি রেখেই আমরা এই ব্যবস্থাটা নিয়েছি। অর্থনীতির চাকাটা যাতে গতিশীল থাকে, আর সাধারণ মানুষ যেন কষ্ট না পায় তার জন্য এই ব্যবস্থাটা আমরা নিয়েছি। কারণ দেশের মানুষের জন্যই আমাদের এই রাজনীতি।’
তিনি বলেন, ‘করোনা চলমান। এর মধ্যে এলো ঘূর্ণিঝড় আম্ফান। তারপর এলো দীর্ঘমেয়াদি বন্যা। একটার পর একটা আঘাত এসেছে। আমি চেষ্টা করেছি দেশের মানুষের যেন কষ্ট না হয়। মানুষ যেন কোনও দুর্ভোগ না পোহায়। আল্লাহর রহমতে সেটা আমরা কাটাতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের প্রচেষ্টা মানুষের জন্য কাজ করা। আর সেটাই আমরা করে যাচ্ছি।’
দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বিপদ থেকে ভয়ে হতাশাগ্রস্ত যেন না হয়ে পড়ি। বিপদ আসবে। সেটা আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এর জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। আমরা সেই প্রস্তুতি নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি। সেভাবে সার্বিক উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।‘
তিনি বলেন, ‘আমরা সাধ্যমতো মানুষের পাশে আছি। মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। যখন সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল তখন করোনাভাইরাস মোকাবিলা, ত্রাণ বিতরণসহ অন্যান্য কাজে যেসব মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্টতা ছিল তারা কাজ করেছে। আমাদের কিছুদিন থমকে যেতে হয়েছিল। সবকিছু প্রায় বন্ধ অবস্থায় ছিল। সব কার্যক্রম প্রায় স্থবির হয়ে গেছিল। তার মধ্যেও সরকার কিন্তু বসে থাকেনি। যার কারণে আমরা রিজার্ভ ৩৯ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করতে পেরেছি। এখানে অবশ্য আরেকটা কারণ আছে। আমাদের খরচ কমেছে। করোনাভাইরাসের কারণে আমাদের বিদেশ যাওয়া নেই। বিভিন্ন অনুষ্ঠানা নেই। এসব কারণে আমাদের বেশ সাশ্রয় হয়েছে। সেটা আমরা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করতে পারছি। মাথাপিছু আয় দুই হাজার ৬৪ ডলারে উন্নীত হয়েছে। মাঝখানে কিছুদিন রফতানি একটু থমকে গেলেও আমাদের আমদানি-রফতানি এখন বৃদ্ধি পেয়েছে। যার কারণে গার্মেন্টসগুলো যা চেয়েছে আমরা সেইভাবে দিয়েছি। আমাদের রফতানি যেন ক্যানসেল না করে। যার কারণে অনেক দেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে আমি নিজেও কথা বলেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের বড় বড় মেগা প্রজেক্ট থমকে গিয়েছিল। সেগুলোর কাজ এখন চলমান। ডিজিটাল করে আমরা সরকারি কার্যক্রমগুলো সক্ষম রাখতে পেরেছি। দেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply