হাজীগঞ্জের ইউএনও করোনায় আক্রান্ত

মুন্সি মোহাম্মদ মনির/ শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকাল তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। অর্থাৎ তিনি করোনায় আক্রান্ত। কাঁদতে কাঁদতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউএনও নিজেই। তিনি সকলের কাছে দোয়া/আশির্বাদ কামনা করেছেন।
ধারণা করা হচ্ছে- লকডাউনের মধ্যে করোনা সংক্রমণরোধে দায়িত্ব পালন করতে গিয়েই তিনি করোনায় আক্রান্ত হন।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা যাওয়ার পর থেকেই জনসচেতনতায় ব্যাপক কাজ করতে দেখা গেছে তাকে। চাঁদপুর জেলা লকডাউন ঘোষণার পর হাজীগঞ্জ উপজেলাকে করোনামুক্ত রাখতে জনসচেতনতা ও লকডাউন কার্যকর করতে দিন-রাত মাঠে ব্যাপক কাজ করেছেন ইউএনও। এসব নানা কারণে এতোদিন উপজেলাটি করোনামুক্ত ছিল। কিন্তু বুধবারই ইউএনও ও ঢাকাফেরত এক ব্যাংক কর্মকর্তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান বলেন, যেহেতু নির্বাহী কর্মকর্তার করোনা রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তাই এখন তিনি সিভিল সার্জনের পরামর্শ অনুযায়ী চলবেন।
এর আগে ঢাকায় একটি ব্যাংকে কর্মরত একজন কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তিনি ১৫ দিন আগে ঢাকা থেকে হাজীগঞ্জে গ্রামের বাড়িতে যান। পরে তার করোনা উপসর্গ দেখা দিলে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। বুধবার তার রিপোর্ট করোনা পজেটিভ আসে। এর ফলে হাজীগঞ্জ উপজেলায় প্রথম করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। এ নিয়ে জেলায় এ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হয়েছেন ১৭ জন।
হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ এস. এম. সোয়েব আহমেদ চিশতী জানান, তিনি ঢাকায় একটি ব্যাংকে চাকরি করেন। গত ২৭ এপ্রিল ওই রোগীর শরীরে করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা দিলে, হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা নেয়। আজ ২৯ মে রিপোর্ট পজিটিভ আসে। অর্থাৎ তিনি করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত যুবকের বয়স ৩৫ বছর। পেশায় ব্যাংক কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি তার নিজ বাসায় আইসোলেশনে রয়েছেন।
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ জানিয়েছেন, আজ ৩৯ জনের রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৩৭ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর দুইজনের রিপোর্ট পজেটিভ। এর মধ্যে একন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ১৫ দিন আগে ঢাকা থেকে আসা এক ব্যাংক কর্মকর্তা।
সিভিল সার্জন জানান, ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা থেকে ৩০৪টি নমুনা পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২৯২টি রিপোর্ট পাওয়া গেছে। যার মধ্যে জেলায় করোনায় আক্রান্ত পাওয়া গেছে ১৬ জন। আক্রান্তদের মধ্যে দুইজন মারা গেছেন। এছাড়া ৭ জন ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply