হাজীগঞ্জে রাতের আঁধারে যাত্রী ছাউনি দখলের অভিযোগ
শাখাওয়াত হোসেন শামীম :
হাজীগঞ্জে রাতের আঁধারে জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি দখল করে সাটার লাগিয়ে দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ (ফেইসবুক) চলছে সমালোচনার ঝড়। তবে কারা জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি দখল করেছে এ নিয়ে কেউ মুখ খুলছেনা।
জানাযায়, হাজীগঞ্জ বাজারস্থ চৌরাস্তা বিশ্বরোড জেলা পরিষদ যাত্রীদের সুবিধার্থে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করে। যাত্রী ছাউনিটির সামনে দু’পাশেই দীর্ঘ দিন হকাররা ছোট ছোট দোকান তুলে ব্যবসা করে আসছে। এটিতে রোদ-ঝড়-বৃষ্টিতে ছিন্নমূল মানুষ আশ্রয় নিতো। এছাড়াও দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা এখানে বিশ্রাম নিতো। হঠাৎ করে ১৪ জুলাই বুধবার দিনগত গভীর রাতে যাত্রী ছাউনির দু’দিকে নতুন সাটার ছাটিয়ে এটি দখল করে দোকান নির্মাণ করা হয়।
জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও হাজীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী জসিম মুঠোফোনে জানান, জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনি সাটার লাগানো বিষয়ে আমি শুনেছি, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, দখলের সাথে আমার বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই। এটি কে বা কাহারা দখল করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
যাত্রী ছাউনি সাটার লাগানো সাথে যারা জড়িত, তারা যত বড় শক্তিশালি ব্যক্তি হউক, তাকে আইনে আনা হবে এবং সাধারণ যাত্রীদের এই ছাউনি উদ্বার করা হবে, এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের সাথে আমার কথা হয়েছে।
তিনি বলেন, যারা ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে, আমি তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করবো।
তিনি আরো বলেন, আমি জেলা পরিষদের মাসিক সভায় সব সময় বলে আসছি হাজীগঞ্জসহ জেলার সকল যাত্রী ছাউনিগুলো দখল মুক্ত করে, সেখানে যাত্রীদের ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া হউক। সেখানে আমি যদি নিজেই দখল করে তা হবে চরম অন্যায়, আপনারা জানেন আমি উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী তাই আমার বিরুদ্ধে একটি মহল কুচক্রী মহল মিথ্যা অপপ্রচার করছে।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গণি পাটওয়ারী বলেন, আমি দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ। এখন ঢাকা থেকে চিকিৎসা নিয়ে চাঁদপুরে আসার পথে। হাজীগঞ্জ জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনিটি রাতের অন্ধকারে কে বা কাহারা দখল করেছে আমি শুনেছি। আমি আগামীকাল শুক্রবার হাজীগঞ্জে আসতেছি বিষয়টি দেখে তাৎক্ষণিক জেলা পরিষদের যাত্রী ছাউনিটি জনগণের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়া হবে।
তিনি বলেন, আমার পুলিশ নেই। যে কেউ দখল করছে বললেই গিয়ে তাদেরকে ধরে নিয়ে আসবে। যারা অন্যায়ভাবে এসব অপরাধ করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।